×

জাতীয়

পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল মহিলা আ.লীগ, যুব মহিলা লীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:৩২ এএম

পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল মহিলা আ.লীগ, যুব মহিলা লীগ

আওয়ামী লীগ। ফাইল ছবি

অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ। সম্মেলনের সাত মাস পর গতকাল রবিবার রাতে সংগঠন দুটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহিলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ১০২ জন। আর যুব মহিলা লীগের কমিটি করা হয়েছে ১৬৩ সদস্যবিশিষ্ট।

আজ সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবে নতুন কমিটি। সূত্রমতে, নতুন ও পুরাতনের সমন্বয়েই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে। পরীক্ষিত ও দলের জন্য ডেডিকেটেড সাবেক নেতাদের কমিটিতে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। সংগঠনে প্রাধান্য পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা।

মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর। সম্মেলনে সভাপতি হন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং সাধারণ সম্পাদক হন শবনম জাহান শিলা। সাত মাস পর গতকাল পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা দুই মাস আগেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জমা দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, নতুনদের অনেকেই ছাত্রলীগ থেকে, কেউবা যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠন থেকে এসেছেন। দলের জন্য যারা তৃণমূল থেকে কাজ করে আসছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন, তাদেরকেই নতুন কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে আলেয়া সারোয়ার ডেইজিকে সভাপতি ও শারমিন সুলতানা লিলিকে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেয়া হয়। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার সাত মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই দিনের মধ্যে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংগঠনের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ভোরের কাগজকে বলেন, আজ (গতকাল) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি জানান, নতুন কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীরাই ঠাঁই পেয়েছেন। ছাত্রলীগ ও পোড়খাওয়া নেতাকর্মীরা বেশি প্রাধান্য পেয়েছেন।

রাজনৈতিক দলে সহযোগী সংগঠন কেন প্রয়োজন- এ ব্যাপারে রাজনীতিবিদরা বলছেন, একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে নির্বাচনী কর্মসূচি দিয়ে। এই কর্মসূচিগুলো দেখেই জনগণ তাদের ভোট দেন। তাই ক্ষমতায় আসার পর কর্মসূচিগুলোর বাস্তবায়নই হলো সরকারের প্রধান কাজ। কিন্তু সেই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ দরকার। সরকারের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দলগুলোর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন প্রয়োজন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ভোরের কাগজকে বলেন, আদর্শ বাস্তবায়নে মূল দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলো একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই কাজ করবে। মূল দলকে সহায়তা করাই হচ্ছে সহযোগী সংগঠনের কাজ। কারণ আমরা সবাই একটা আদর্শের অনুসারী।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সংখ্যা আটটি। সংগঠনগুলো হচ্ছে- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও মৎস্যজীবী লীগ। এছাড়া ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App