প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি গণঅধিকারের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করেন গণ অধিকার পরিষদের একাংশ (রেজাপন্থী)। ছবি: ভোরের কাগজ
লাখ লাখ তরুণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ (রেজাপন্থী)।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ ধারার বৃহত্তর গণআন্দোলনের এক দফা ঘোষণার সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেজা কিবরিয়ার অংশের নেতারা।
আজ বুধবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, ২০১৪-২০২৩ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে ১০ জন নতুন যুবক, যারা ভোটরাধিকার অর্জন করেছেন, তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি। ভোট দেয়ার আনন্দ কেড়ে নিয়েছেন (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা। ক্ষমতার লোভে তিনি অন্ধ হয়ে গেছেন।
ভোট চুরির অভিযোগ তোলে তিনি বলেন, তিনি ভোট চুরি করেন বলেন- বিশ্বের আর কোনো দেশে এত সুন্দর ভোট হয় না! ঠিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ‘৭২-‘৭৫ সাল পর্যন্ত বাকশাল কায়েম করে আওয়ামী লীগের যে সর্বনাশ করেছিলেন শেখ হাসিনা তার ১০ গুণ বেশি সর্বনাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাকশাল বানাতে গিয়ে ২১ বছর রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। এবার সম্ভবত আওয়ামী লীগ ৪০ বছরের জন্য হারিয়ে যাবে।
‘এবার লাখ লাখ তরুণরা জেগেছে। তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবো। আমরা একটা একটা করে ‘১৪ ও ‘১৮ সালে চুরি হওয়া ভোটগুলো গুনে নেবো। যেসব মানুষগুলো হারিয়ে গেছে, যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের কঙ্কাল গুনে নেয়া হবে। দেশ থেকে পাচার হওয়া সব টাকা গুনে নেবো’ - গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল মিয়া মসিউজ্জামান
তিনি আরো বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন,জনগণের শক্তি অপরাজেয়। স্বৈরাচারের মাধ্যমে দেশের যত টাকা লুট হয়েছে, জনগণের মাধ্যমে সেটা আমরা গুনে নেবো।পালাবার কোনো রাস্তা নেই। আইন অনুযায়ী আমরা সবার বিচার করবো। কিন্তু সে বিচার হবে মানবিক বিচার। তাতে কাউকে গুম করা হবে না, বিনা বিচারে হত্যা করা হবে না। কিন্তু প্রত্যেক অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা ফারুক হাসান বলেন, সরকার নুরুল হক নুরকে এমপি বানানোর লোভ দেখিয়েছেন। এই নুর ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র’ এর সঙ্গে দেখা করেন। ইসরাইলি গোয়েন্দার সাঙ্গে গোপন আতাতা করেন। নুরসহ কিছু নেতা সরকারের গোপন এজেন্ট। দিনের বেলা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। রাতের বেলা সরকারের কাছে মাফ চান।