স্বাস্থ্য খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা: পাঁচ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪০ এএম
ছবি: ফোকাস বাংলা
স্বাস্থ্য খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য দেশসমূহের ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ এন্ড ডিপ্লোমেসি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরছি।
প্রথমত, ভবিষ্যৎ জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নিরাময়যোগ্য সংক্রামক রোগ নির্মূল করতে ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে বিদ্যমান উত্তম চর্চা বিনিময়ে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।
তৃতীয়ত, মানসিক স্বাস্থ্যকে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল ধারায় যুক্ত করতে এবং পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা বা প্রাণঘাতী বিপর্যয় রোধে আরো মনোযোগী হতে হবে।
চতুর্থত, আমাদের নিজ নিজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অবকাঠামোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
পঞ্চমত, মা ও শিশু, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভীষ্ট-৩ অর্জনের মাপকাঠি বিবেচনা করে এই অঞ্চলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সময় এসেছে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৩ ও অভীষ্ট-১৭-এর আলোকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর বৈশ্বিক অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করার। যে প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হবে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের কার্যকর অংশ নেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা।
এই উদ্দেশ্য পূরণে সুস্পষ্ট বৈশ্বিক অঙ্গীকারের পাশাপাশি লক্ষ্য-অভিমুখী, নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আগামী ৭৫ বছর এবং তারও পরে যেন অর্থপূর্ণভাবে সমগ্র মানবতার সেবা করে যেতে পারে সে লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।