×

জাতীয়

আঞ্চলিক অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আনতে রুপিতে বাণিজ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩, ০৫:০১ পিএম

আঞ্চলিক অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আনতে রুপিতে বাণিজ্য
আঞ্চলিক অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আনতে রুপিতে বাণিজ্য
আঞ্চলিক অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে ভারতের সঙ্গে রুপির দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশের বৈদাশিক মুদ্রার রিজার্ভে চলমান চাপের মধ্যে ভারতের সঙ্গে দুই বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য রুপিতে হলে রিজার্ভের উপর কিছুটা কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে 'ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশের রপ্তানি'র বাংলাদেশ প্রান্তের উদ্ভোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতেই, দীর্ঘ চিন্তা ভাবনা করে আমারা এই পথে গিয়েছি। রুপিতে লেনদেনের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে আসন্ন সেপ্টেম্বরে টাকা-রুপি লেনদেনে বিশেষ কার্ড আনার কথাও জানান গভর্নর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘এটা দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকারের নিদর্শন। দুই দেশের প্রসারমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে রুপিতে লেনদেন শুরু হলো। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অনেকদিন ধরে দাবি ছিলো রুপিতে লেনদেন, আজ সেটা পূরণ হলো এবং তারা অনেক খুশি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমি মনে করি, এটা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে। বাংলাদেশকে ভারতের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত পাঁচ বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য দিগুন হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হবার পথে বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক রুপান্তরে একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে, সমন্বিত অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে ভারত এখানে ভূমিকা রাখতে চায়। এটা (রুপিতে বানিজ্য) একটা উদ্ভাবনী উদ্যোগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অর্থনীতির জন্যই শুধু ইতিবাচক নয়, ব্যবসায়ীদের লেনদেনকে আরো সহজকরবে। লেনদেনের খরচই শুধু কমবে না, কম সময়ে লেনদেনে ঝুঁকিও কমে আসবে। এক্ষেত্রে আরো উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। সাবেক গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান বলেন-শুরুটা জরুরি ছিলো এবং দুই বিলিয়ন ডলার সমমানের রপ্তানি বাণিজ্য বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশে নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে ভারত রয়েছে, জাপান অস্ট্রেলিয়া সহ নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। নতুন গন্তব্য ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে গত অর্থবছরে। তার মধ্য ভারতও রয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে ইন্দো বাংলা ইকোনমিক কমিশন আছে, এই কমিশনের একটা ব্যাংকিং সাব গ্রুপ আছে। যদি নতুন লেনদেনে কোন সমস্যা হয়, ওই সাবগ্রুপের গিয়ে আলাপ করে আমরা সমাধান করতে পারি। রুপিতে লেনদেনের জন্য দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের সোনালি ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক। আঞ্চলিক অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আনতে রুপিতে বাণিজ্যটাকা-রুপির বিনিময় হারের রেট নির্ধারণ হবে আন্তঃসীমান্ত মুদ্রার ভিত্তিতে। এতে খরচ কমবে ব্যবসায়ীদের। লেনদেন নিষ্পত্তি হবে সুইফটের মাধ্যমে। রুপিতে বাণিজ্যের উপর উপস্থাপনা করেন-স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার অমিত কুমার। উপস্থাপনায় তিনি রুপিতে ভারতীয় ব্যাকে প্রতিনিধিত্বমূলক হিসাব (স্পেশাল রুপি ভস্ট্রো একাউন্ট) খোলার পদ্ধতি দেখান। প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ থেকে রুপিতে রপ্তানি হিসাব খোলে বগুড়ার তামিম এন্টারপ্রাইজ এবং তার বিপরীতে আমদানি হিসাব খোলে ভারতের নিতা কোম্পানি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই সভাপতি, মাতলুব আহমেদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App