×

জাতীয়

৫ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য ফাঁস: যেসব ঝুঁকি বাড়বে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩, ০৪:৩১ পিএম

৫ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য ফাঁস: যেসব ঝুঁকি বাড়বে
বাংলাদেশের ৫ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, গুগলে সার্চ করলেই যে কেউ ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করে ৫ কোটি বেশি নাগরিকের ঠিকানা সহজেই দেখতে পারছেন। গেল ২৭ জুন এটি দেখতে পান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস। বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কম্পিউটার নিরাপত্তা সমাধান সংস্থা। তার বরাতে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চ। ফাঁস হওয়া তথ্যের কারণে বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বাংলাদেশের নাগরিকরা । যেমন: ব্যাংকিং লেনদেন: যারা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করেন তাদের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পাসওয়ার্ড চুরি করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করতে পারে হ্যাকাররা। এই প্রসঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “ধরুন আপনি পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন, তখন আপনি কী করেন? কল সেন্টারে ফোন দিয়ে বলেন যে আমি আমার অ্যাকাউন্টে এক্সেস করতে পারছি না আমাকে সাহায্য করুন। তখন আপনার পরিচয় জানতে যে প্রশ্নগুলো করা হয় সেই তথ্যগুলো কিন্তু এই ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্যের মধ্যে আছে। হ্যাকার যদি কল সেন্টারের কর্মকর্তাকে তথ্য দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে তখন সে আপনার অ্যাকাউন্টে এক্সেস পেয়ে যেতে পারে। অনলাইন কেনাকাটা: যারা নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন এবং মোবাইল ব্যাংকিং বা অন্যান্য মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেন তারাও ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। বিশেষ করে যারা পেমেন্টের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর বা কার্ডের বিস্তারিত তথ্য বিভিন্ন ওয়েব সাইটে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। ভুয়া পরিচয় দিয়ে আপনার নামে সেখান থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করতে পারে হ্যাকাররা। ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি: ফাঁস হওয়া তথ্য দিয়ে আপনার নামে ক্রেডিট কার্ড তুলে নিতে পারে হ্যাকাররা, অথবা আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করে টাকাও পাচার করে নিতে পারে। ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়া: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে আপনার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। কারণ পরিচয় যাচাই করতে সামাজিক মাধ্যমগুলো অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চায়। ফাঁস হওয়া তথ্য দিয়ে দুর্বৃত্তরা আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। নাগরিক সেবায় জালিয়াতি: জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থার সাথে সংযুক্ত, বিশেষ করে জন্ম নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন সরকারি ভাতা পেতে এই তথ্য জরুরি। হ্যাকাররা এসব তথ্য ব্যবহার করে এসব সেবা বেআইনি ভাবে হাতিয়ে নিতে পারে। আরও পড়ুন:

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App