×

জাতীয়

নির্বাচন এলে সরকারের চ্যালেঞ্জ বাড়বেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩, ১২:২৩ এএম

নির্বাচন এলে সরকারের চ্যালেঞ্জ বাড়বেই

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের চ্যালেঞ্জ বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। সরকার ও বিরোধীদল উভয়ই সেটা জানে। নির্বাচন এলে নানামুখী তৎপরতা বাড়বেই। বিএনপি বলছে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাই আমাদের বন্ধুভাবাপন্ন কিছু দেশ মনে করছে, বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচনটা কেমন হবে। সেজন্য তারাও তৎপর হয়েছে। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইস্যুভিত্তিক পার্থক্য কমে আসবে। গতকাল ভোরের কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যমে দৃশ্যমান কিছু ঘটনা দেখি। অদৃশ্য কিছু ঘটনাও থাকে। যেমন বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব পক্ষই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেদিক থেকে নির্বাচন ঘিরে বড় ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জ আছে- এমনটা মনে করছি না। তবে সাবধানে পা ফেলতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নানা ষড়যন্ত্র থাকে। বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হলে সেই ষড়যন্ত্র সহজেই ধরা যায়। নিজেদের লোক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকলে, সেটা ধরা মুশকিল।

গুজব বা অপপ্রচার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, বিদেশি গণমাধ্যম, নাগরিক বা বিদেশি সংস্থা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে সেটা অন্যরকম হয়। কিন্তু কিছু বাংলাদেশি বিদেশে বসে শুধু গুজবই নয়, চরম মিথ্যাচার করছে। হিংসা-বিদ্বেষপ্রসূত কথাবার্তা প্রচার করছে। তারা যেমন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে এসব করছে। ক্ষমতাসীন দলকেও একইভাবে গুজব খণ্ডাতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করতে হবে। তবে তাদের মতো গুজব ছড়ানো যাবে না। গুজবের পরিবর্তে সত্যিকারের সংবাদ বা তথ্যটা প্রচার করতে হবে যাতে জনগণ সঠিকটা জানতে পারে। তবেই গুজব প্রতিরোধ সম্ভব। কারণ আমাদের জনগণ গণতন্ত্রমনা। তারা যেন বুঝতে পারে, কোনটা গুজব আর কোনোটা সত্য। কাজেই গুজবের বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক বিষয়টি তুলে ধরলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি পাকিস্তানের সামরিক সরকার একাত্তর সালে যে গুজব ছড়িয়েছিল, সেই তুলনায় কিন্তু এখন কিছুই হয় না। কিন্তু সেই গুজব ছড়িয়ে পাকিস্তানের কোনোই লাভ হয়নি। তখন আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার সত্য বিষয়গুলো সম্প্রচার করেছে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিল। ফলে গুজব পাত্তা পায়নি।

বিএনপির সরকারবিরোধী এক দফা আন্দোলন নিয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ দেখছি না। দেশবাসী জানে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে, তাদেরও নির্বাচনে যেতে হবে। যারা ক্ষমতায় যেতে চায় তাদেরও নির্বাচনে যেতে হবে। এটাই গণতন্ত্রের ‘অ আ ক খ’। যিনি গণতন্ত্র বুঝেন, তিনি এটাও বুঝেন। সুতরাং নির্বাচন করব না বলে চেঁচামেচি করে বিদেশিদের বা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বলা- এটা তাদের কাছেও হাস্যকর হবে। কারণ বিদেশিরা নানাভাবে তাদের সংলাপের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দৌড়ঝাঁপ; অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এগুলো প্রমাণ করে, তারা জানে নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সেই চেষ্টা তারা করছে। নির্বাচন ভণ্ডুল করা কিংবা নির্বাচন হবে না- এমন কোনো বিষয় নিয়ে তারা কথা বলছে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App