×

জাতীয়

কাঁচা মরিচের দাম এত বেড়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম

কাঁচা মরিচের দাম এত বেড়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নেই

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার কিছু কারণ আছে। তবে যে পরিমাণে বেড়েছে তার কোন যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আলোচনায় পরীলক্ষিত হয়েছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও অভিযান, সুপারশপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও আলোচনায় পরিলক্ষিত হয় কতিপয় সুপারশপ কাঁচা মরিচ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বোচ্চ লাভের চেয়ে বেশি লাভে বিক্রয় করেছে যার প্রভাব সামগ্রিক কাঁচা মরিচের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে। যে সব সুপারশপ অস্বাভাবিক লাভ করে কাঁচা মরিচের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে তাঁদেরকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শোকজ করা হবে এবং শোকজের তিন দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।

যে সব ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করবে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

রবিবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে কাঁচামরিচ, আদা, রসুন ও চিনির মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সুপারশপ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, স্বপ্ন, আগোরা, ডেইলি শপ, ইউনিমার্ট, আমানাবাজার, মীনাবাজারসহ বিভিন্ন সুপারশপ প্রতিনিধি, কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা।

সভার শুরুতে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (অভিযোগ) মো. মাসুম আরেফিন এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বিগত দিনগুলোতে কাঁচা মরিচের উপর পরিচালিত অভিযানের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরেন। তারা জানান, মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানতে গত ৫জুলাই রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ২টি টিম ঢাকার কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ি বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় কারওয়ান বাজারে এক ঘন্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি পাইকারি মূল্য ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা রাখা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয় বিক্রয়ের ক্যাশ মেমো ঠিক মতো না দেয়ায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অভিযানে কাঁচামরিচ বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসংগতি যথা মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, বিক্রয় রশিদ না দেয়া, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে সময়ে সময়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বোচ্চ লাভের চেয়ে বেশি লাভ করা, বেপারী ও আড়তদারের মধ্যে মোবাইল ফোনে দাম নির্ধারিত হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক জানান, কারওয়ান বাজারের আড়তদাররা শুধু কমিশন পান, লাভ হয় ব্যপারীদের। স্বপ্ন, প্রিন্সবাজার, ডেইলিশপ ও আগোরা সুপার শপের প্রতিনিধিরা তাঁদের সুপার শপে গত ২৬ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কাঁচা মরিচ ক্রয়-বিক্রয়ের উপাত্ত সভায় তুলে ধরেন। সুপার শপে কাঁচা মরিচ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বোচ্চ লাভের চেয়ে বেশি লাভে বিক্রয় করার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App