×

জাতীয়

কর্মবিরতিতে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম

কর্মবিরতিতে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা

ছবি: ভোরের কাগজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) অধিভুক্ত পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি ও সেই ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

শনিবার (৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্রেইনি ডাক্তারদের সংগঠন ‘পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, তাদের দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে। এছাড়া, আগামীকাল (রবিবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অনশনে বসার ঘোষণা দেন। সমস্যা সমাধানে এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ট্রেইনি চিকিৎসসক ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে এর আগে কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তাই আমরা মাসিক ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আগামীকাল (রবিবার) আমরা অনশনে বসবো। এতেও যদি দাবি আদায় না হয়, তাহলে আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করব। পাশাপাশি কর্মবিরতি চলমান থাকবে।

ডা. জাবির আরো বলেন, এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম ভাতা দেয়া হয় আমাদের দেশের ট্রেইনি ডাক্তারদের। ভারতে এই ভাতা দেড় লাখ রুপি, পাকিস্তানে প্রায় ৭৫ হাজার রুপি, আর চিকিৎসা সেবার জন্য যে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেয়া হয় সে দেশে বাংলাদেশের প্রায় আড়াই লাখ টাকা ভাতা দেয়া হয় ট্রেইনি চিকিৎসকদের। কিন্তু আমাদের দেশে এটি মাত্র ২০ হাজার টাকা। আমাদের দাবি, ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। যাতে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে আমরা মোটামুটি জীবনযাপন করতে পারি। আমাদের চিকিৎসা সেবা বিশ্বমানে উন্নত হোক এটা আমরা চাচ্ছি, কিন্তু চিকিৎসকদের সরবরাহ করছি সর্বনিম্ন ভাতা।

দাবি পূরণ করে সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলমান থাকবে জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী বলেন, আমরা আমাদের এই দাবি নিয়ে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ),  স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), ঢাকা মেডিকেলসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই আমাদের নৈতিকভাবে সমর্থন করেছে। কিন্তু দাবি পূরণে কোনো ধরনের আশানুরূপ পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরে আমরা আজ সারা বাংলাদেশের ট্রেইনি চিকিৎসকরা একযোগে কর্মবিরতিতে গেছি।

দাবি পূরণ হলে দ্রুত রোগীদের সেবায় ফিরতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে হাসপাতাল চালানো খুবই কষ্টকর। এতে সাধারণ মানুষ ও সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি বাড়বে। আমরা চাই না তা হোক। আমরা চাই, অধিকার নিয়ে ফিরে গিয়ে রোগীদের দ্রুত সেবা দিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App