×

জাতীয়

স্বত্ব পাবে না নৈতিকতা পরিপন্থি শিল্প-নকশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৭ এএম

স্বত্ব পাবে না নৈতিকতা পরিপন্থি শিল্প-নকশা

ফাইল ছবি

জনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নৈতিকতা পরিপন্থি এবং জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোনো শিল্প-নকশা স্বত্ব পাবে না- এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এদিন মোট তিনটি বিল পাস হয় সংসদে।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিরোধী দলীয় সদস্যরা বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

দ্য পেটেন্ট এন্ড ডিজাইন অ্যাক্ট-১৯১১ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত বছরের ১ নভেম্বর সংসদে বিলটি তোলা হয়। এর আগে একই বছরের ২৫ জুলাই বিলটি গত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়।

বিলে বলা হয়, আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি দেয়া সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে ৫ বছর। কারো যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু থাকে, তাহলে তিনি দরখাস্ত দিলে আরো ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

সংসদে পাস হওয়া বিলের বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয়, অন্য কেউ প্রতারণামূলকভাবে যদি তা ব্যবহার করে, তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। যিনি চুরি বা নকল করবেন তাকে আইনানুযায়ী সাজা ভোগ করতে হবে। সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে বিলে।

বিদ্যমান আইনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদপ্তর ছিল, নতুন আইনেও সেটা বহাল থাকছে। এই অধিদপ্তরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধনসংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুর বিল-২০২৩ পাস

গতকাল জাতীয় সংসদে ‘শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুর বিল-২০২৩’ পাস হয়। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিরোধীরা বিলটিতে কিছু সংশোধনী দেন এবং বিলটি জনমত যাচাই করার কথা বলেন। তবে বিলটি পাসের জন্য সংসদে ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিষয়ে স্বপন ভট্টাচার্য জানান, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে। এর ফলে রংপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ দেশের দারিদ্র বিমোচন ও আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য প্রশিক্ষণ, প্রায়োগিক গবেষণা, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র বিমোচনসহ দেশ গড়ার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে এবং এসব জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করে তাদের উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনেনসি বিল পাস 

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে আরো একটি বিল পাস হয়। বিলটি হলো স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনেনসি বিল-২০২৩। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বিলটি পাশের জন্য প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

বিলটি আরো যাচাই-বাছাই করার জন্য ফেরত পাঠানো এবং বেশ কিছু সংশোধনী দেন। কিন্তু তাদের সংশোধনীগুলোর ১টি বাদে বাকিগুলো ভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিরোধীরা বলেন, দেশে যেসব মামলা মকদ্দমা, খুনোখুনি তার অধিকাংশই সৃষ্টি ভূমি নিয়ে। আর আমাদের উপজেলা-জেলা ভূমি অফিসগুলো ঘুষ খেয়ে একজনের জমি অন্যকে পর্চা করে দিচ্ছে। একজনের সঙ্গে অন্যদের বা ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি, প্রতিবেশীর সঙ্গে যত গণ্ডগোল সবই জমিজমা সংক্রান্ত। তাই এসব দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিরোধী সংসদ সদস্যরা। আবার ভূমি অধিগ্রহণের যেসব সমস্যা তা দূর করে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম শেষ করার আহ্বান জানান বিরোধীরা। পরে বিলটি ভোটে দিলে স্থিরীকৃত আকারে পাস হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App