×

জাতীয়

পলিথিন ব্যবহারে ৪ বছর পাঁচ মাসে ১৬৯ জনের কারাদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম

পলিথিন ব্যবহারে ৪ বছর পাঁচ মাসে ১৬৯ জনের কারাদণ্ড
  • ‘সোনালী ব্যাগ’ এর দাম কমাতে ১০ কোটির প্রকল্প
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার রোধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ৪ বছরে পাঁচ মাসে ২ হাজার ২৭৪ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৫ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার ১৫০ টাকা মাত্র টাকা জরিমানা ধার্য করে ৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৭১ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন পলিথিন/দানা/পলিমার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রশ্নাত্তোরে পরিবেশ মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী জানান, প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন বাজারজাতকরা এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে পুনঃব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান আবিষ্কৃত পাটজাত পলিথিন (বায়োডিগ্রেডেবেল বায়োপ্লাষ্টিক) "সোনালী ব্যাগ" এর দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য গৃহস্থলি বর্জ্য ও প্লাষ্ট্রিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপননের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ বা সীমিতকরার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী, পরিবহনকারী, বিক্রেতা এবং মজুদদারকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে নিয়মিত জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে এবং পলিথিন সামগ্রী বহু ও কারখানা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত কারণের জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারনার কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App