আনোয়ারার শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত দাবীর কারণে চালকদের সাথে ইজারাদারের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সেতুটি গত শুক্রবার রাতে ৩৩ কোটি টাকায় জে.এ ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে নতুন ইজারদারকে বুঝিয়ে দেয় সওজ। এরপর ওই দিন সকাল থেকেই অতিরিক্ত টোল আদায় করছে বলে অভিযোগ গাড়ী চালকদের।

দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৈলারদ্বীপ সেতু ইজারা দেওয়ার পর সরকার নির্ধারিত টোলের তালিকা ইজারাদারকে দেওয়া হয়। তালিকা অনুযায়ী ট্রেইলার গাড়ি ৩০০, হেভি ট্রাক ১৮০, মিডিয়াম ট্রাক ১৫০, মিনিট্রাক ১১৫, বড় বাস ৩০, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ৯০, মিনিবাস ১৫, মাইক্রোবাস ৬০,ফোর হুইল চালিত যানবাহন ৬০, সিডান কার ৪০, ৩/৪ চাকার মোটরাইজড যান ১৫, মোটরসাইকেল ১০ ও রিকশা-ভ্যান ৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু নতুন ইজারাদার মাইক্রো-নোহা থেকে নিচ্ছে ৮০ টাকা,ট্রেইলার, ট্রাক ও মিনি ট্রাক থেকে নিচ্ছে আতিরিক্ত ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এতে করে টোল আদায়কারীদের সাথে প্রতিনিয়ত গাড়ী চালকদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে। অতিরিক্ত টোল দিতে কোনো চালক অস্বীকার করলে ইজারাদারের লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়।

সরেজমিন বিভিন্ন গাড়িচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হেভি ট্রাকের টোল সাদা টোকেন ১৮০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও জে.এ ট্রেডিং ইজারাদার নিজস্ব টোকেনের মাধ্যমে ট্রাক-ট্রেইলার থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এ সময় এক চালকের কাছ থেকে পাওয়া টোকেনে দেখা যায়, প্রতিবার গাড়ি পারাপারের জন্য একই হারে টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে টোকেনে। সওজ তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল আদায়ের নির্ধারিত তালিকা টোল বক্সের পাশে টাঙানো হলেও ইজারাদার নিজের নির্ধারিত টোকেনেই টোল আদায় করছে।

ট্রাকচালক আবদুর রহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে সব ডাকাত, আমার মিডিয়াম ট্রাকের ১৫০ টাকা টোল দেওয়ার কথা থাকলেও আদায় করছে ৩০০ টাকা। না দিলে ট্রাক আটকে রেখে মারধর করে। তবে সেতুর ইজারাদার মো. জহির উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে দোহাজারী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ সরকারের নির্ধারিত ফি'র বেশি টাকা আদায় সম্ভব নয়। বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখব। সরকার নির্ধারিত টোলের বাইরে কোন টাকা নেওয়া যাবেনা।