×

জাতীয়

৮ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র শতভাগ বর্জ্য অপসারণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৩, ১১:৩০ পিএম

৮ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র শতভাগ বর্জ্য অপসারণ

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

৮ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র শতভাগ বর্জ্য অপসারণ

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

৮ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র শতভাগ বর্জ্য অপসারণ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ৮ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।

‘সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত আট ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটিকর্পোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে’ - মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বেলা দুইটার দিকে ঢাকা উত্তর সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মণিপুর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

[caption id="attachment_443899" align="aligncenter" width="1280"] মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

দুপুর দুইটা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে আট ঘণ্টারও কম সময়ে সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে। ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে আজ ঈদের দিন রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ২৭১৩ ট্রিপে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৪টি ওয়ার্ডের সব এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ নং ওয়ার্ডের সব বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএসে রাখা হয়েছে। সেগুলো ল্যান্ডফিলে ট্রান্সফার (স্থানান্তর) করা হচ্ছে।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও সরাসরি তদারকি করেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মনিপুর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর তিনি আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, মগবাজার, মধুবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও, প্রগতি সরণিসহ উত্তরা এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন করেন।

এছাড়া, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের তদারকি করার জন্য পাঁচজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে পাঁচটি গ্রুপ গঠন করা হয়। পাঁচটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। সব গ্রুপ দুটি করে অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১১ হাজার কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিল। নগর ভবনের নিচতলায় অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০২-৫৫০৫২০৮৪, ১৬১০৬। এছাড়া, সবার ঢাকা অ্যাপেও তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সকাল থেকে ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) থেকে মনিটরিং করা হয়।

সন্ধ্যায় পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বর্জ্য বিভাগকে ও তদারকির জন্য গঠিত পাঁচটি গ্রুপকে আগামীকালও (শুক্রবার) কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App