×

জাতীয়

ক্রেতার ভিড়, দরদাম হচ্ছে বিকিকিনি কম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৩, ০৮:৫০ এএম

ক্রেতার ভিড়, দরদাম হচ্ছে বিকিকিনি কম

ছবি: ভোরের কাগজ

রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশানঘাট পশুর হাট, ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড পশুর হাট ও রহমতগঞ্জ ক্লাব পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পশু বেচাকেনার দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার প্রথম দিনের চেয়ে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি ছিল। অনেকে গরু দেখে দামাদামি করেছেন। কয়েকজন পছন্দের গরু কিনেছেন। বিশেষ করে যাদের গরু রাখার জায়গা আছে, তারা কিনেছেন। কিন্তু বিক্রেতাদের মতো, তাদের আশানুরূপ কেনাবেচা জমেনি। প্রতিটি খামারিকে গরু ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে হাঁকডাক করতে দেখা যায়।

অন্যদিকে ঘুরে ঘুরে গরু দেখে আশাহত হচ্ছেন বলে দাবি ক্রেতাদের। দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। বাজারে কেজিপ্রতি মাংস ৮০০ টাকা করে হলেও কুরবানির গরু কিনতে গেলে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাজারে মাঝারি বা তার নিচের সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম অনেক বেশি। ৭ থেকে ১০ মণ ওজনের একটি গরু কিনলে মাংসের কেজিপ্রতি দাম পড়ছে গড়ে ৭০০-৮০০ টাকা। কিন্তু ছোট গরুর ক্ষেত্রে কেজিতে আরো ১০০-২০০ টাকা বেশি পড়ছে।

ধোলাইখাল হাটে গরু কিনতে আসা তাজনূর রহমান বলেন, ৩ মণ ওজনের গরু কোথাও ১ লাখ টাকার নিচে দাম নেই। এই ওজনের গরু ১ লাখ ২০ হাজার বা তার বেশি দাম চায়। তাহলে মাংসের কেজি পড়ে ১ হাজার টাকা। বড় গরুর দাম তুলনামূলক কম। তবে আমাদের সামর্থ্য নেই বড় গরু কেনার। দেখি ঈদের আগে দাম কমে কিনা। পোস্তগোলা হাটের হাজী লোকমান বলেন, হাটে হয়তো বাইরের গরু ঢুকেনি। দাম অনেক বেশি। আশায় আছি বাইরের গরু এলে দাম কমবে। তখন গরু কিনব। না হলে ছোট সাইজের গরু কেনা লাগবে। কারণ কুরবানি তো দিতে হবে।

ঝিনাইদহ থেকে পোস্তগোলা হাটে গরু নিয়ে আসা বেপারি আজিজুর রহমান বলেন, ১০টি বড় সাইজের গরু ও ১৫টি ছোট সাইজের গরু এনেছি। এর মধ্যে বড় ১টি ও ছোট ২টি গরু বিক্রি হয়েছে। হাটে বড় গরুর ক্রেতা কম। মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু চায় সবাই। তবুও দাম শুনে ক্রেতারা চলে যাচ্ছে। ঢাকায় গরু আনতে অনেক খরচ হয়ে। গরুর খাবারের দাম বেশি। তাই দাম কমাতে পারছি না। আরো ২ দিন বাকি আছে। দেখা যাক কী হয়।

এদিকে ধোলাইখাল পশুর হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে বেচাকেনার পরিমাণ বেড়েছে। সামনের ২ দিনেই মূলত বিক্রি হবে। আমরা চেষ্টা করছি হাটের পরিবেশ যেন সুশৃঙ্খল থাকে। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। ক্যাসলেস ব্যাংকিং বুথ ও জাল নোট চিহ্নিতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বুথ রয়েছে।

এদিকে পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ধোলাইখাল, পোস্তগোলা, রহমতগঞ্জ পশুর হাটের নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে গরুর হাট বসেছে। রাস্তা ও অলিগলিতে বসেছে হাট। সিটি করপোরেশনের শর্ত মানা হচ্ছে না। এছাড়া গো-খাদ্যের দাম এ বছর অনেক বেশি। বাসায় কুরবানির গরু বা ছাগল কিনে নিয়ে গেলে একই সঙ্গে কিনতে হয় খাবার। তাই প্রচুর চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনেকে গো-খাদ্যের মৌসুমি ব্যবসা করছেন। পোস্তগোলা

পশুর হাটে ঢুকতেই দেখা মেলে গো-খাদ্য বিক্রি করছেন দিপু হোসেন নামে এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, প্রতি বছর ৩-৪ দিনের জন্য এ ব্যবসা করি। ভালো বিক্রি হয়। গমের ভুসি ৬৫ টাকা কেজি, চালের কুড়া ২০ টাকা কেজি, ছোলার খোসা ৭০ টাকা কেজি, ফিট ৭৫ টাকা কেজি ও এক আঁটি খড় ২০ টাকা করে বিক্রি করছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম বেশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App