×

জাতীয়

পলিথিন নিষিদ্ধে সমন্বয় সেল গঠনসহ ১৫ দফা দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ০৩:০১ পিএম

পলিথিন নিষিদ্ধে সমন্বয় সেল গঠনসহ ১৫ দফা দাবি

সভ্যতার নামে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু হয়। আগে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হতো। তার পরিবর্তে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্লাস্টিক আজ পরিবেশের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাড়ালো। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি তোলেন পরিবেশবাদীরা।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভয় এ কথা বলেন তারা। 'পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন বাংলাদেশ: করণীয় ও প্রতিকার” -শীর্ষক এই আলোচনা সভা

রবিবার (২৫ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজন করা হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন অধ্যাপক এম. ফিরোজ আহমেদ। বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার সভপাতিত্ব আরো বক্তব্য রাখেন-বাপা’র নির্বাহী সদস্য ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাইলোজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, এসডু-এর হেড অব প্রোগ্রাম, মনোয়ারুল ইসলাম, স্থপতি ইকবাল হাবিব। সভা সঞ্চালনা করেন-বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস।

এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে পলিথিন নিষিদ্ধের অঙ্গীকার করার জন্য ১৫ দফা দাবি তোলেন ধরেন ইকবাল হাবিব।

দাবি সমূহ

  • প্লাস্টিক ও পলিথিন জাত পণ্যের নিয়ন্ত্রণ ও নিষিদ্ধকরণ আইন-এর সঠিক, দ্রুত, নির্মোহ ও কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।
  • পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ আইনের সফল প্রয়োগের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সমন্বয়ে সেল গঠন করতে হবে।
  • চকচকে প্যাকেটজাত খাদ্য সহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্যাকেটজাতকরণে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার এর উপরে উচ্চ কর আরোপের বিধান প্রবর্তন করা।
  • চক্রাকার অর্থনীতি (Circular Economy)- এর অধীনে উৎপাদককেই বর্জ্য আহরণের প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার বিষয়ে বাধ্য বা প্রণোদিত করার কার্যক্রমের দাবি জানাচ্ছি।
  • "Polluters Must Pay”/ দূষণকারীর জরিমানা’র ধারণা কার্যকরের পাশাপাশি উৎপাদকের বেপরোয়া পলিথিন-প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সংযত আচরণও নিশ্চিত হবে।
  • অবৈধ্য টিস্যু পলিথিন ও শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে তাদের কারখানা বন্ধ করার জন্য সরকারি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কোন যুক্তিতেই আর কোন পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদনের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে না।
  • পলিব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাট, কাপড়জাত সামগ্রীর উৎপাদনে সহযোগিতা ও উৎসাহী করতে হবে।
  • পণ্য বাজারজাতকরণে প্লাস্টিক প্যাকেজিং এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের কাঁচামাল অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্লাস্টিকের কাঁচামাল এর উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি ও প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান নির্ভর সামগ্রী/ কাঁচামালের উপর শুল্ক হ্রাস করতে হবে।
  • পানি ও কোমল পানীয় বাজারজাতকরণে প্লাস্টিক বোতল নিষিদ্ধ করে কাঁচের বোতল ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্লাস্টিক পাত্রের ব্যবহার বন্ধ করে দেশীয় মাটি, কাঁচ ও সিরামিকের পাত্র ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
  • পলিথিনের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কাগজ, চট ও কাপড়ের শপিং ব্যাগ ব্যবহারে সরকারিও বেসরকািরি জনসচেতনতামূলক প্রচার নিয়মিতকরণ ও বৃদ্ধির জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। পলিথিন প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেডিও, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক ও নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে।
  • চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যতিত একবার ব্যবহাযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
  • প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সরাসরি আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
  • দেশের ঐতিহ্যবাহী পাট শিল্প পুনর্জীবিত করতে হবে এবং পাটশিল্প বিকাশে আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
  • যত্রতত্র প্লাস্টিক বা পলিথিন জাতীয় বর্জ্য বা আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
  • 3R (Reduce Reuse, and Recycle) এর প্রতি জোর দিতে হবে এবং প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য এ সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান-এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App