×

জাতীয়

চরদখলের সংঘর্ষে প্রাণহানির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ০১:২৬ পিএম

চরদখলের সংঘর্ষে প্রাণহানির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানকে

ছবি: ভোরের কাগজ

চরদখলের সংঘর্ষে প্রাণহানির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানকে

চর দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার মামলায় পরিকল্পিতভাবে আমার বাবা চাঁদপুরের মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। এখন আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন কাজী মিজানুর রহমানের ছেলে কাজী জাফর রহমান।

রবিবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে কাজী জাফর রহমান বলেন, তার বাবা একজন শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য। বিগত ২০১৮ সালে নৌকার পক্ষে কাজ করায় মনোনয়ন বঞ্চিত একজন নেতা আমাদের পরিবারকে হামলা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। বিগত ১৬ মার্চ উপনির্বাচনে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আমার বাবা কাজী মিজান। এরপর থেকে আমাদের ইউনিয়নেরই বাসিন্দা আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার অপচেষ্টা করে আসছেন। গত ১৭ জুন মোহনপুরের বাহাদুরপুর এলাকায় চর দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কালু ও রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় কাজী মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনকে এজহার নামীয় আসামি করা হয়। মামলায় কাজী মিজানের দুই ভাই কাজী আব্দুল মতিন ও কাজী হাবিবুর রহমানকেও ২ ও ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। বাবুর ভাই আমির হোসেন কালুর করা এজহারে বলা হয়েছে; কাজী মিজান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার ভাই হাবীব ও মতিনকে গুলি করার নির্দেশ দেন। মতিন প্রথমে ও পরে হাবীব গুলি করেন।

জাফর রহমান আরো বলেন, এজহার অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে বেলা ৩টায়। ওই সময় আমার বাবা ও দুই চাচা বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত ছিল। আমাদের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দুর্গম চরে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেখান থেকে কোনভাবেই এক থেকে দেড় ঘন্টার আগে আমাদের বাড়িতে আসা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে আমার বাবা, দুই চাচা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে। আমরা এই মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। এই অপরাধে যুক্ত না থাকায় আমার বাবা ও দুই চাচাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি দেয়া হোক।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন কাজী মিজানের পুত্রবধু সিফাত নুসরাত। বক্তব্য রাখেন কাজী মিজানের স্ত্রী রাজিয়া বেগম, কাজী হাবিবের স্ত্রী ও চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহা বেগম। উপস্থিত ছিলেন মিজানের বোন নাসিমা বেগম, মোহনপুর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার জেসমিন বেগম।

রাজিয়া বেগম বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই আমি দেখেছি আমার স্বামী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। নৌকা যার পক্ষে থাকে তিনিও তার পক্ষে কাজ করেন। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমাদের এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতা দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি আমার স্বামীকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বাঁধা দেন। ওই বাঁধা উপেক্ষা করে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমার স্বামীকে নানাভাবে হয়রানি, মামলা ও হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। তাকে রাজাকার ও বিএনপি-জামায়াতের লোক বলেও অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App