×

জাতীয়

বারান্দা থেকে ফেলে শিশু হত্যা, প্রতিবেশীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৪:৪৫ পিএম

বারান্দা থেকে ফেলে শিশু হত্যা, প্রতিবেশীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

চার বছর আগে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন এলাকায় দুই বছরের শিশুকে তিনতলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি জান্নাতুল ওয়াইশ ওরফে নাহিদকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডেরর পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা আসামি নাহিদকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস। তিনি বলেন, আমার ছোট মেয়েটাকে তিনতলা থেকে ফেলে হত্যা করেছে। তার সাজা হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। আমরা তার ফাঁসি চাই। এ রায় আমরা মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আপিল করবো। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা।

প্রসঙ্গত, দীননাথ সেন রোডের ৫৩/১/ছ নম্বর চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত আড়াই বছরের শিশু আয়েশা। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি বাসায় গ্যাস সংযোগ না থাকায় বিকেলে আয়েশার মা পাশের বাসায় রান্না করতে যান।  তখন আয়েশা রুমেই ছিল। একপর্যায়ে আয়েশার মা রুমে আসেন। তখন মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অস্থির হয়ে পড়েন।  সন্ধ্যার পর আশপাশের মানুষের চেঁচামেচি শুনে ছুটে যান বাসার পাশের গলিতে।  সেখানে গিয়ে দেখেন ময়লার ট্রলির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার মেয়ে। দ্রুত আয়েশাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিযে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

৭ জানুয়ারি শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণের পর চারতলা বাড়ির তিনতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মামলা দায়েরের পর নাহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে নাহিদ কারাগারেই আছেন। এদিকে নাহিদের মেয়ে ফাতিহা খান বুশরা বাবার বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাদেকুর রহমান নাহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দুই বছরের শিশু আয়েশা মনিকে পরিকল্পিতভাবে তিন তলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা করে নাহিদ।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য দেন। আসামির পক্ষে ছয়জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App