×

জাতীয়

রাষ্ট্রদূতদের কাছে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১০:৪০ পিএম

রাষ্ট্রদূতদের কাছে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি

প্রতীকী ছবি

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় এমপিরা বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তাই আমরাও বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি। কেননা আমাদের উন্নয়ন সহযোগীতার প্রয়োজন আছে।

রবিবার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদে এমন মন্তব্য করেন সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রীরা। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করীম সেলিম বলেন, আজ আমাদের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদুতরা নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। বিএনপির সঙ্গে দেখা করে তাদের মিথ্যে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে চলেছেন। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তাই আমরাও বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি। কেননা আমাদের উন্নয়ন সহযোগীতার প্রয়োজন আছে।

বিএনপি দলটির জম্ম ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি এখন অনির্বাচিত সরকার আনতে চাইছে, তাদের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। শেখ সেলিম বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে আর কোনো অনির্বাচিত সরকার আসতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি সেই ধরনের সরকার আনার চেষ্টা করছে। এ দেশের নির্বাচন আমাদের রীতি অনুযায়ী হবে, জনগণ যে রায় দেবে সেভাবেই নির্বাচন হবে। কারো প্রেসক্রিপশনে আমাদের নির্বাচন হবে না, আমাদের একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন রয়েছে।

আমাদের নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, যথাসময়ে

তিনি আরো বলেন, তবে একটি দলের নেতারা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেখা করে লাফালাফি করছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, যথাসময়ে। খালেদা জিয়া তারেক ও কোকোকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছে। ২০০৭ সালে তারেক মুছলেখা দিয়ে আর রাজনীতি না করার শর্তে বিদেশে পালিয়ে যায়। ফালু এখনো পালিয়ে আছে। বিএনপির অনেক নেতা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে মারাও গেছে। তারেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদাও সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারা নির্বাচন করতে পারবে না। সুতরাং অন্য কেউ এখানে এসে নেতা হোক তা তারেক জিয়া চাইবে না। তারেক জিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে করাপশন (দুর্নীতি) ও পলিটিক্যাল ক্রাইম (রাজনৈতিক ফৌজদারি অপরাধ) থাকার কারণে সে আর আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্রে) যেতে পারবে না। তারা এখানে কোন সন্ত্রাস, জঙ্গি বাংলাদেশকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বানাতে পারবে না। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া, মঈনুদ্দিন-ফখরউদ্দীন নিজেদের আখের গোছাতে এসেছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সেবা করতে এসেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App