×

জাতীয়

উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধের আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম

উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধের আহ্বান

ছবি: ভোরের কাগজ

উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধের আহ্বান

উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করা, পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানো, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সকলকে একতাবদ্ধ থাকা এবং সকলের দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পরিবেশ সমাবেশ।

রবিবার (১৮ জুন) বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষায় জাগো বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আইপিডিএস, ইনসিডিন বাংলাদেশ, এএলভারতি, কাপেং ফাউন্ডেশন, কারিতাস, নিজেরা করি, নাগরিক উদ্যোগ, বাপা, বেলা, বারসিক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, রিভারাইন পিপল, এবং সিসিডিবি'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে সংহতি জানান বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক, হাওর বাঁচাও আন্দোলনসহ পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।

মানবাধিকার সংস্কার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাড. সুলতানা কামালের সভাপতিত্ব ও বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোমা দে, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা উন্নয়নের নামে প্রকৃতির যে ধ্বংস করা হচ্ছে সেটি দ্রুত বন্ধ করে প্রকৃতিবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া ও সেগুলো বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান। পাশাপাশি প্রকৃতি সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত পরিবেশ সমাবেশ আয়োজনের দাবি জানান।

বক্তব্য প্রদানকালে ড. সোমা দে বলেন, আমরা বাস অযোগ্য নগরীতে বসবাস করছি। এটি অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক। পরিবেশের সূচকে তলানীতে দিয়ে ঠেকছে ঢাকা শহর। শুধু ঢাকা নয়, গোটা দেশের একই অবস্থা। এখন আমাদের প্রত্যেক নাগরিককেই পরিবেশ দূষণ নিয়ে সোচ্চার হতে হবে।

এসময় শিরীন হক বলেন, আমরা নিজেরাই প্রকৃতি নষ্ট করে পরক্ষণে আবার আফসোস করি। প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজনে আমাদের এখন রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। বর্তমানে সারাদেশে গাছ কাটার হিড়িক পরে গেছে। হয়তো সেটা রাস্তা বানানোর জন্য কিংবা কারো পকেট ভরানোর জন্য। এই অংশে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, আমরা বারবার দেখি যেকোনো উন্নয়নের প্রথম কোপটা পড়ে গাছ, নদী, বনভূমি, কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর। প্রশ্নহীনভাবে দেশের সবুজবলয়, উন্মুক্ত প্রান্তর আর জলাভূমি আজ নিশ্চিহ্ন। যার ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেড়েছে লবণাক্ততা ও ঘূর্ণিঝড়। দেশের উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে তাপদাহ ও খরা। উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি ঢল, মধ্যাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ধস, দেশজুড়ে নদীভাঙন, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড, রাসায়নিক বিস্ফোরণ, জলাবদ্ধতা এবং প্লাস্টিক দূষণ বেড়েছে। এসময় প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সকলের দায়িত্বশীল আচরণ এবং অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নে কার্যকারী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App