×

জাতীয়

দুই সহযোগীর সচল মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিল বাবুকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ০৩:১২ পিএম

দুই সহযোগীর সচল মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিল বাবুকে

ছবি: সংগৃহীত

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ছিলেন জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সম্প্রতি চেয়ারম্যান বাবুর অপকর্ম নিয়ে অনলাইন পোর্টালে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক নাদিম। প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক নাদিমকে বিভিন্নভাবে হুমকিসহ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলা খারিজের বিষয়টি নিয়ে ভিকটিম নাদিম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ায় বাবু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করেন। এরই জেরে গত ১৪ জুন (বুধবার) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাবুর পরিকল্পনা এবং তার উপস্থিতিতেই সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান,নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে নিশ্চিত করে র‍্যাব। ফুটেজে রেজাউলকে প্রথম দেখা যায়। আর তাকে নিয়েই কাজ শুরু করে র‍্যাব। তবে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত বাবুকে ধরাটা সহজ ছিল না। কারণ সাংবাদিক নাদিম মারা যাওয়ার খবরে আত্মগোপনে চলে যান বাবু। এছাড়া ঘটনার পর থেকেই বাবুর মোবাইল ফোনটি ও বন্ধ পাওয়া যায়।

র‍্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও জাকিরুল ইসলাম একসঙ্গে গা-ঢাকা দেন। এই পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নেয় র‍্যাব। বাবুর মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকলেও তার দুই সহযোগীর ফোন সেট খোলা ছিল। এতেই বেরিয়ে আসে বাবু আত্মগোপনে থাকা আস্তানার ঠিকানা। তার দুই সহযোগীর মোবাইল ফোনে কথোপকথন থেকে মিলে যায় সেই তথ্য। আর এই সূত্র ধরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, চেয়ারম্যানে সহযোগী জাকিরুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান মনির মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় কথাও বলেছেন। চেয়ারম্যানের এলাকা থেকে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ছিল, মনির ও জাকিরুলকে সঙ্গে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন বাবু। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার (১৭ জুন) ভোরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।

ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তার নির্দেশেই সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App