বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নিরপেক্ষ ভোটের পথে এবার কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে তার খবর আছে, কাউকে ছাড়বো না। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেখানে আঘাত আসবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়তে হবে। তবে সাবধান, সরকারের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ওরা ষড়যন্ত্র করে সংহিতার দায় বিএনপির ওপর চাপাতে চাইবে।

  [caption id="attachment_439266" align="alignnone" width="1596"] অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবিটি তুলেছেন ভোরের কাগজের ফটোসাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন[/caption]

অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৩ জুন) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন সহ অন্যান্য নেতারা।

পদযাত্রা উপলক্ষে বেলা ১২ থেকেই উত্তর মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মহাখালী বাস স্টেশন সামনে পদযাত্রাস্থলে জড়ো হতে থাকে। ‘অলিগলিতে সোর, শেখ হাসিনা চোর’, ‘খুনি হাসিনার দাবি এক খুনি হাসিনার পদত্যাগ’ খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতেই হবে, ‘দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’, ‘১০ টাকায় চাল দে, না হয় গদি ছাইড়া দে, গ্যাস দে, বিদুত দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’- এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

বক্তব্যর শুরুতে আমির খসরু একটি হারিকেন উঁচু করে বলেন, এই হারিকেন দিয়ে কি হবে বলেন তো, নেতাকর্মীরা তাদের অনেকেই তাদের হাতের হারিকেন দেখিয়ে বলেন, হাসিনাকে ধরিয়ে দিতে হবে। এ সময় রাজপথে থাকার জন্য প্রস্তুত আছেন কিনা জানতে চাইলে কর্মীরা আছি, আছি বলে স্লোগান দিতে থাকে।

খসরু বলেন, আজ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে পরাজিত হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগের নির্ভরশীলতা জনগণের ওপর নেই। ওদের নির্ভরশীলতা র‌্যাব, পুলিশ আর আমাদের ভরসা জনগণ।

তিনি আরো বলেন, সরকারকে আর কতো চোর বলবো, বিদ্যুৎ চোর, গ্যাস চোর, ভোট চোর। এই চোরদের গদি থেকে নামাতে আমাদের যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এই যুদ্ধে জয়ী না হয়ে ঘরে ফেরা যাবে না।

প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে অনেক অসাংবিধানিক কাজ করছেন, অনুরোধ এবার থেমে যান, জনগণের আন্দোলনে শামিল হয়ে যান। গণতান্ত্রিক পরিবপশ যখন দেশে ফিরে আসবে আপনারা নিজেদের দায়িত্ব নিবিঘ্নে পালন করতে পারবেন। কেউ বলবে বা ওরে খুন করো, ওর ওপর হমলা করো।

খসরু বলেন, সরকার তলে তলে ষড়যন্ত্র করছে যে সংহিতা করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপাতে পারলেই, তারা বিশ্বকে বোঝাতে পারবে অস্হির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। কারন, বিএনপির কোনে সংহিতা লাগবে না। কোটি কোটি জনতা বিএনপির পক্ষে আজ রাস্তায় নেমেছে। এসব করলে উল্টা সরকার ধরা খাবে। দেশে আরো স্যানশন আসবে।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আজ জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। তচ শোখ হাসিনা ফের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। তিনি বলেন, এই সুযোগ আর দেয়া হবে না, ভোটের অধিকার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। ২০২৩ হাসিনাকে বিদায় করতে ফয়সাল হবে রাজপথে।