বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারানো কিশোর মো. সাদিকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেনো দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সংশিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, গত ২ মার্চ শেখ সাদির বাবা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করে। কিন্তু কোনো জবাব না পেয়ে গত ২ মে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরাবর দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠায়। জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আজ রিটের শুনানি হয়। শুনানিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

জানা যায়, ঢাকার ধামরাইয়ের বর্ণমালা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শেখ সাদি। ধানসিড়ি আবাসিক এলাকার প্রতিদিন একটি পুকুরে গোসল করতে যায় সাদি। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি দুপুরে গোসল করার জন্য পুকুরে ঝাপ দেয়। এসময় পানির ঝুলে ছিল বিদ্যুতের তারে। তাতে স্পৃষ্ট হয়ে তার উভয় হাতে আগুন ধরে যায়। এসময় আশপাশে থাকা লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠিয়ে দেন। জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শেখ সাদির উভয় হাত কাঁধ থেকে কেটে ফেলে।

এবিষয়ে শিশির মনির বলেন, দুর্ঘটনার স্থান ও তার আশপাশে বিভিন্ন সময় পল্লী বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধামরাই জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে স্থানীয় লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারের ব্যবস্থাপনার জন্য অনেকবার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অবহেলায় সাদি উভয় হাত হারিয়েছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না। তাই তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।