×

জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, অবশেষে জালিম সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হযেছে। আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি কালো সাপ। তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এদের কাছে কখনো গনতন্ত্র ও মানবাধিকার নিরাপদ নয়। জনমতকে উপেক্ষা করে পৃথিবীর কোন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না।

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিন। আলেম ওলামাদের গ্রেপ্তার করে জনমতের রোষ থেকে নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবেন না। সময় এসেছে, গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে এই অত্যাচারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

শনিবার (১০ জুন) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ​ রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়টি পুর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। জনরোষে সরকারকে সরে যেতে হবে। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন ছাড়াই ১৯৯১ সালের মতো ২০২৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, দেশে বিদ্যুত নেই, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। দেশের মানুষের মানবাধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। খুব শিগগিরই এই জালিম সরকার বিদায় নিবে, ভোটের অধিকার ফিরে আসবে এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, যে সরকার জামায়াতকে সন্ত্রাসী বলেছে, সেই তারাই আজ আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এখন তারাই প্রমাণ করেছে, জামায়াত কোনো সন্ত্রসী সংগঠন নয়। জামায়াত একটি সুশৃঙ্খল দল। এখন আপনাদের মুখ কোথায় যাবে? আপনারাই প্রতারক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। আমাদের মুখ খুলেছে, আর বন্ধ হবেনা। উল্টো সরকারকেই সংবিধান লঙ্ঘণকারী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

সমাবেশে অনুপস্থিত জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি জামায়াত আমিরের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে সারাদেশে জামায়াতের সব অফিস খুলে দিতে হবে। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ডিএসএ অ্যাক্ট বাতিল করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে। অনুমতি ছাড়া উম্মুক্ত সভা সমাবেশের সুযোগ থাকতে হবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে।

এর আগে, দুপুর ২টায় নির্ধারিত সময় অনুষ্ঠান শুরু হলেও সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আ. রহমান মুসা, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দীন আহমেদ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমির আ. জব্বার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App