×

জাতীয়

অস্থায়ী রাসায়নিক গুদামের উদ্বোধন ৪ জুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম

অস্থায়ী রাসায়নিক গুদামের উদ্বোধন ৪ জুন

ছবি: ভোরের কাগজ

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নি দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরাতন ঢাকার শ্যামপুরে (৪ জুন) অস্থায়ী রাসায়নিক গুদাম উদ্বোধন করা হবে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই গুদাম উদ্বোধন করবেন। গুদাম উদ্বোধনকালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য তথা ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, প্রকল্পের ঠিকাদার নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. আব্দুল্লাহ আল মাকসুস এবং বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান উপস্থিত থাকবেন।

পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক পদার্থের গুদামে গত ০৩ জুন, ২০১০ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১১৯ জন নিহত হয়। এছাড়া চকবাজারের চুড়িহাট্টায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৭৮ জন। রাসায়নিক কারখানা ও গুদামে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সে লক্ষ্যে পুরান ঢাকায় অবস্থিত রাসায়নিক পদার্থ মজুদের নিমিত্ত গুদাম ও কারখানাসমূহ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিপদজনক কেমিক্যাল সাময়িকভাবে সংরক্ষণের নিমিত্ত বিসিআইসি’র আওতাধীন উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, শ্যামপুর, ঢাকা-এর জায়গায় গুদাম নির্মাণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এগিয়ে আসে। পুরান ঢাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব রাসায়নিক কারখানা ও গুদামসমূহ একটি নিরাপদ জায়গায় দ্রুততম সময়ে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ‘উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি লি.’ শ্যামপুর, ঢাকা এর স্থলে ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জরুরিভিত্তিতে সরকার হাতে নেয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভূক্ত প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত।

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে রাসায়নিক দ্রব্যাদি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা এবং পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংরক্ষিত রাসায়নিক পদার্থসমূহ দ্রুত স্থানান্তর ও নিরাপদভাবে সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ। প্রকল্পটি মার্চ ২০১৯ সালে শুরু হয় এবং সম্প্রতি এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ৭১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা হলেও প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি তথা সরকারি অনুদান ৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং বিসিআইসি দিয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ফলে এতে সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। ৬.১৭ একর জমির উপর নির্মিত এ প্রকল্পটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ৩৫´×৩৫´×২০´ আকারের ৫৪টি (চুয়ান্ন) গুদাম ও ৭২´×৩৬´ আকারে তিনতলা বিশিষ্ট দুইটি অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতি নদীর তীরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) স্থায়ীভাবে একটি কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ করছে। ৩১০ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা ‘বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল পার্ক’ প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখানে প্লট বরাদ্দের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App