×

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুত করে তোলার লক্ষ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে আগামী বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার রূপরেখা প্রণয়ন করছে। এই রূপরেখায় চারটি কৌশল থাকবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।

এছাড়া, স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য ও স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থার কথাও থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি কৌশলসহ এসব ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন করতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে মূলত তরুণ-তরুণীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এই তহবিলের অর্থ অনুদান হিসেবে দেওয়া, নাকি ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে, তা বাজেট ঘোষণার পর একটি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।

বাজেট বক্তব্যে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চালিকাশক্তি হিসেবে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুত করে তোলার লক্ষ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে আগামী বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ কর্মক্ষম ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ২৮ শতাংশ তরুণ। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা তারুণ্যের শক্তিকে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির অন্যতম উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আগামী দিনগুলোতে তরুণরাই হবে উন্নত বাংলাদেশের পথে আমাদের স্মার্ট অভিযাত্রার অন্যতম সারথি। তরুণ-তরুণীসহ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ-দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নেয়ার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক, দক্ষ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী মানবসম্পদে রূপান্তরের অব্যাহত ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ আমাদের উৎপাদন শক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। শিল্পখাতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবন সক্ষমতার বিকাশে আমরা মৌলিক দক্ষতা থেকে ধীরে ধীরে মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার দিকে মনোযোগী হব। দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়ানো হবে। প্রথাগত কর্মসংস্থানের ধারণা থেকে বের হয়ে এসে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্নমুখী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগে নিজেদের নিয়োজিত করবে, নিজের ও সমাজের জন্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিবে, আমাদের তরুণদের মধ্যে আমরা সে ধরনের প্রণোদনার সঞ্চার করতে চাই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, একইসঙ্গে, তৈরি করে দিতে চাই অনুকূল প্ল্যাটফরম। সাধারণ, কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও জীবনব্যাপী শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ই-লার্নিং প্ল্যাটফরমে অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ তৈরি ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবো। স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন উপযোগী অবকাঠামো গঠন ও সুবিধাদি দেয়া হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App