জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সকাল থেকেই রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন।

বরাবরের মতো এবারও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী ‍উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নজরুলজয়ন্তী পালনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।

[caption id="attachment_433559" align="aligncenter" width="1600"] জাতীয় কবির সমাধিতে ঢাবি শিক্ষকদের ফাতেহা পাঠ ও দোয়া। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

জাতীয় কবির ১২৪তম জন্মবার্ষিকী ‍উপলক্ষ্যে বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে কবির সমাধি ভরে গেছে সকালেই। কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কবির পরিবার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শ্রেণিপেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে।

কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।

[caption id="attachment_433561" align="aligncenter" width="1600"] জাতীয় কবির সমাধিতে িফুল দিয়ে ঢাবি শিক্ষক-কর্মচারিদের শ্রদ্ধা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯ সাল) জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।