অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকা রাজধানীর গাউছিয়া সুপার মার্কেটের অগ্নিনিরাপত্তা (ফায়ার সেফটি) নিশ্চিতে জরুরি ২০টি সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রীয় চার সংস্থা। সংস্থাগুলো হলো- জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস ও ঢাকা ওয়াসা। গতকাল রবিবার সমন্বিতভাবে পরিদর্শন শেষে দোকান মালিক সমিতিকে এ সুপারিশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

সুপারিশগুলো হলো- এক্সিট সাইন বা ইমার্জেন্সি লাইট জরুরিভাবে সিঁড়ির পাশে স্থাপন, জরুরি নাম্বারগুলো দৃশ্যমান স্থানে রাখা, কলপয়েন্ট সুইচ স্থাপন করা, ফায়ার অ্যালার্ম বেল ও ফায়ার পাম্প স্থাপন এবং সেটি আন্ডারগ্রাউন্ড পানির ট্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করা, প্রতি ফ্লোরের জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা (রাইজারসহ) স্থাপন, ফ্লোরভিত্তিক ডেলিভারি হোসপাইপ স্থাপন (২.৫ ইঞ্চি ডায়াবিশিষ্ট), প্রয়োজন অনুযায়ী পানির রিজার্ভার (আন্ডারগ্রাউন্ড) ট্যাংক বাড়ানো, প্রতিটা ফ্লোরের জন্য পি এ সিস্টেম স্থাপন, সাবস্টেশন ও জেনারেটর রুমের জন্য ফায়ার ডোর স্থাপন, প্রয়োজনীয় ফায়ার এক্সটিংগুইশার (প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে) স্থাপন, ছাদের দরজা সব সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা, ফায়ার রেটেড ওয়াল (সাবস্টেশন রুমে এবং জেনারেটর রুমে) স্থাপন এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া ফ্লোরভিত্তিক প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা স্থাপন, জেনারেটর ও সাবস্টেশন রুমের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা (ফায়ার সাফ্রেশন সিস্টেম) স্থাপন, রাবার মেট স্থাপন এবং ক্যাবলগুলোর আর্থিং নিশ্চিত করা, করিডোর, চলাচলের পথ পরিষ্কার বা বাধামুক্ত রাখা ও সিঁড়িপথের দোকানগুলো অপসারণ, বৈদ্যুতিক লাইনগুলো অনুমোদিত ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করা ও বৈদ্যুতিক তারগুলো নির্দিষ্ট চ্যানেল বোর্ডের ভেতর দিয়ে নেয়া, ইলেকট্রিক হিটার, ইলেকট্রিক ওভেন ও কফিশপের দোকানগুলোর ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটারের ব্যবস্থা ও মহড়া এবং ভবনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরিভিত্তিতে ফায়ার লাইসেন্স করার সুপারিশও করা হয়।

সমন্বিত পরিদর্শন শেষে গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, চারটি সংস্থার পক্ষ থেকে গাউছিয়া মার্কেট সমন্বিতভাবে পরিদর্শন করা হয়েছে। আগেও এখানে পরিদর্শনের পর যেসব সুপারিশ দিয়েছিলাম তার অনেকগুলোই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে এখনো বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে। আজকের (গতকাল) পরিদর্শন শেষে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির ঘাটতি পূরণসহ মোট ২০টি সুপারিশ জরুরিভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার জন্য মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে। এ সময় ঢাকা ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী মিলন মজুমদার, উপসহকারী প্রকৌশলী অশোক কুমার হালদার, গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।