×

জাতীয়

কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ০৮:৩১ এএম

কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

অভিনন্দন জানাল মন্ত্রিসভা

জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া গ্রেনেড-বোমার মুখোমুখি হয়েও বেঁচে আছি, মানুষের সেবা করতে পারছি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর এমন মানবিক উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।

দেশের জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধন্যবাদ আমার দেশবাসীকে, তারা যদি বারবার ভোট না দিত, আর আমাকে সেবা করার সুযোগ না দিত আমি তো আসতে পারতাম না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, গ্রেনেড-বোমা-গুলি সবকিছুর মুখোমুখি হয়েও আমি বেঁচেও আছি এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

এর আগে, গত মঙ্গলবার সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক একটি রেজোল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এ রেজোল্যুশনটি কো-স্পন্সর করে। রেজোল্যুশনটির শিরোনাম ছিল- ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা : সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।’

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত এ রেজোল্যুশন কো-স্পন্সর করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা সবার সঙ্গে শেয়ার করব। অনেক দেশ এভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারেনি, তাদের সঙ্গে শেয়ার করব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে। কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিল। তাদের বন্ধ করার যুক্তি হলো, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ যদি চিকিৎসাসেবা নেয় তাহলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে। তাদের কেউ ভোট দেবে না, এজন্য বন্ধ করে দিল। আমার খুব কষ্ট লাগলো, আমরা যে ক্লিনিক করলাম সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসা নেবে না। জনগণ সেবা পাবে। সাধারণ মানুষ সেবা পাবে। ওইসব এলাকায় অন্য দলের সমর্থক আছে না? তাহলে বন্ধ কেন করল?

এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরুর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রায় ১১ হাজার ঘর করেছিলাম। তার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে দিলাম। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকে এগিয়ে এলো। চালু করার ১ বছর পর আমরা একটা সার্ভে করে দেখলাম রেজাল্ট কী আসে? মানুষ কতটুকু লাভবান হয়? তাতে দেখা গেল ৭০ শতাংশের উপর এর সাফল্য। আমরা আরো উৎসাহিত হয়ে ১১ হাজার চালু করে দেয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাঁচ বছর সময় শেষ। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সেজন্য ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে এটিকে একটি ট্রাস্টের আওতায় দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App