×

জাতীয়

উৎকন্ঠায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম

উৎকন্ঠায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা

ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে কক্সবাজারে সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। ছবিটি তুলেছেন ভোরের কাগজের ফটোসাংবাদিক সাহাদাৎ হোসেন

ঘূর্ণিঝড় মোকার শক্তি কমে যাওয়া এবং এখনো এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ না করলেও কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অস্বস্তি বিরাজ করছে।

ঘরবাড়ি হারানের আতঙ্কে উৎকন্ঠায় সময় পার করছেন তারা। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানকারীরা বলছেন, ভয়াবহ বিপদ ঘটবে এমন আশঙ্কা থেকেই সবকিছু ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি। আল্লাহ চাইলে আমাদের ঘরবাড়ির কোনো ক্ষতি ঘটবে না। যদি ঝড় ভয়ংকর আকার ধারণ করে, তাহলে রাস্তার ফকির হয়ে যেতে হবে। কেননা, খেটে খাওয়া উপকূলের এসব বাসিন্দাদের বেশির ভাগই স্বল্প আয়ের মানুষ।

রবিবার (১৪ মে) দুপুরে কক্সবাজারের বিমানবন্দর সড়কের সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে সেখানে আশ্রয় নেয়া মানুষরা এসব কথা বলেন।

১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া গ্রামটি একদম উপকূল ঘেষা। এই গ্রামের সব বাসিন্দাকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে এনেছে প্রশাসন। সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মো. হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের গ্রামের শত পরিবার এই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি। শনিবার রাতে প্রশাসন থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়েছে। রবিবার সকালে বিস্কুট ও পাউরুটি দিয়েছে। এখানে থাকতে সমস্যা হচ্ছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্ত্রীর জোবায়রা ও দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে আমার সংসার। জাল বোনার কাজ করে যা আয় করি, কষ্ট করে চলি। এখনতো বিপদের সময়। তাই জীবন বাঁচানোই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ঝুপড়ি ঘরের মায়া ত্যাগ করে জীবন বাঁচাতে এখানে এসেছি। আল্লাহর হুকুমে (আদেশ) কিছু থাকলে থাকবে। না থাকলে আর কি করা। রাস্তার ফকির হয়ে যাওয়া লাগবে। পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে থাকবো।

অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সমিতিপাড়ার বাসিন্দা শাহিদা আক্তার বলেন, স্বামী নেই। সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাই। দুই ছেলে, দুই মেয়ে। আতঙ্ক কাজ করতিছে। সবকিছু চলে গেলে কীভাবে চলবো? এজন্য ভয়ে আছি।

কুতুবদিয়াপাড়ার ফরহাদ ভোরের কাগজকে বলেন, পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি। সম্পদ বলতে একটা গরু ও আটটা ছাগল আছে। ওগুলোও নিয়ে এসেছি। আল্লাহ আমাদের নিঃস্ব করবেন না বলে বিশ্বাস। বাকিটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি।

সরেজমিনে আশ্রয় কেন্দ্র দুটি ঘুরে দেখা যায়, বেশি ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দারা যতটুকু পেরেছেন, জামাকাপড়, কাথা বালিশ ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App