×

জাতীয়

কক্সবাজারে বৃষ্টির মাত্রা ও দমকা হাওয়া বেড়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১২:২৪ পিএম

কক্সবাজারে বৃষ্টির মাত্রা ও দমকা হাওয়া বেড়েছে

ছবি: ভোরের কাগজ

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা’র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায়।

রবিবার (১৪ মে) সকাল সোয়া নয়টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে থাকে দমকা হাওয়া। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টির মাত্রা ও দমকা হওয়ার মাত্রা বেড়েছে। কক্সবাজার পৌর প্রি প্যারাটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র পাড়ে অন্য সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি বাতাস বইছে। বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই বৃষ্টির মাত্রা ও দমকা হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে।

তিনি বলেন, বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি। খবর শুনেছি, এখন এর কেন্দ্রের গতিবেগ ২১০ কিলোমিটার। বেলা ২টার মধ্যে ‘মোখা’ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়া বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার (১৪ মে) সকালে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়ে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির উদ্দিন বলেন, কক্সবাজারের প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজারে আশ্রয় কেন্দ্র সাত শতাধিক। এসব ৫০০কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অবস্থান করছে। তাদের শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ মোকাবিলায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে আট হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে নয়টি মেডিক্যাল টিম। দেড় শ’ মেট্রিক টন চাল, ছয় দশমিক নয় মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুদ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App