×

জাতীয়

নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ০৯:২৭ এএম

নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ

ছবি: সংগৃহীত

ঘাটতি কাটাতে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার তোড়জোড় চলছে। ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ একাধিকবার আলোচনায় বসেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর উভয় দেশ চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ফলে খুব শিগগিরই এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর চুক্তি হলেই নেপাল থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে।

জানা গেছে, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকেই আলোচনায় রয়েছে। উভয় দেশ থেকে বিদ্যুৎ আনতে হলে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। দীর্ঘ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে হবে। এতদিন ভারত এই বিষয়ে সম্মতি দিতে গড়িমসি করে আসছিল। ফলে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ আনার ব্যাপারে কোনো সুফল আসেনি। তবে এসব বিষয়ে সম্প্রতি ফলপ্রসূ আলোচনার পর বেশ অগ্রগতি হয়েছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। ওজোপাডিকোর খুলনা বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান নেতৃত্ব দেন এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিদ্যুৎ সচিব অলক কুমার। এই সভায় বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণে সম্মতি পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানির জিএমআর নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল। বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য গঠিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ইতোপূর্বে ২০টি বৈঠক হয়েছে। তবে এবার ২১তম বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। উভয় দেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ত্রিপক্ষীয় বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনায় হয়। এছাড়া ওই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত পারস্পারিক বিদ্যুৎ সহযোগিতার প্রতিটি বিষয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। ক্রস বর্ডার ট্রেড ও প্রকল্পগুলোর যৌথ উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্পও আলোচনায় এসেছে। নির্র্মাণাধীন ৬৬০ ওয়ার্ড মেগাওয়াটের রামপাল মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরুর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় ইউনিটের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের বিষয়টি অগ্রগতি হয়েছে। উভয় দেশ যৌথভাবে এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে সম্মত হয়েছে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনতে হলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে আনতে হবে। এজন্য তাদের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করতে হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার আন্তঃসংযোগ কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক আগামী নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App