×

জাতীয়

কাঁঠালতলীতে রাতের আধারে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি জমি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম

কাঁঠালতলীতে রাতের আধারে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি জমি

ছবি: ভোরের কাগজ

কাঁঠালতলীতে রাতের আধারে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি জমি
কাঁঠালতলীতে রাতের আধারে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি জমি

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন তারানগর ইউনিয়নের কাঁঠালতলীতে রাতের আধারে তিন ফসলি কৃষি জমি বালু দিয়ে ভরাটের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, বুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বালু ফেলছে কাঁঠালতলী গ্রীন সিটি নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। জমির মালিকরা প্রতিবাদ করতে গেলে দেয়া হচ্ছে নানা রকমের হুমকি। অনেক জমি মালিককে শেয়ারে আবাসন ব্যবসা করার প্রস্তাবও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু আয়ের একমাত্র উৎস ওই কৃষি জমিগুলো কিছুতেই আবাসন কাজে লাগাতে চান না তারা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজের নিচে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে মানববন্ধন করে এসব অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধনে শতাধিক লোক অংশ নেয়। অচিরেই সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপে ভূমিদস্যু হাজী দেলোয়ারের দখল থেকে মুক্তি চান তারা। এসময় তাদের হাতে ‘কাঁঠালতলী গ্রীন সিটি উচ্ছেদ করো, কৃষিজমি রক্ষা করো’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁঠালতলি গ্রীন সিটির মালিক হাজী দেলোয়ার বলছেন, নিজের একটি ডোবা ভরাটের জন্য বালু ফেলেছেন তিনি। কারো জমি দখল করেননি।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী দেলোয়ার বলেন, তারানগর ইউনিয়নের হাদীপুর মৌজায় তাদের পাঁচ ভাইয়ের প্রায় শত বিঘা জমি রয়েছে। তারা সবাই ওই জমির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি কাঁঠালতলী গ্রীন সিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান তাদেরকে আবাসন ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। তারা সব ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন আবাসন ব্যবসায় নাম লেখাবেন না। এরপর রাতের আধারে জমিতে বালু ফেলা শুরু হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে দেয়া হয় নানা হুমকি।

সেলিনা নামে এক নারী বলেন, তাদের দুই বিঘা জমিতে বালু ফেলে ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে।

কেরাণীগঞ্জ থানা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাজেয়া ইসলাম বলেন, আমাদের অনেক কর্মীর জমিতে বালু ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। তাই তাদের নিয়ে মানববন্ধনে হাজির হয়েছি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাঁঠালতলী গ্রীন সিটির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার ওয়াটসআপে মেসেজ পাঠিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App