×

জাতীয়

কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম

কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবেই

ছবি: ভোরের কাগজ

কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবেই

ছবি: ভোরর কাগজ

যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা এখানে পূর্ণ খনন কাজ শুরু করেছি। পূর্ণ খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের আমি কোনো বৈধ নোটিশ দেবো না। যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে।

বুধবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

ইকো পার্ক কারো একার জন্য নয় জানিয়ে মেয়র বলেন, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। সকল বয়সের মানুষের জন্য এই ইকো পার্ক করা হবে। শিশু, নারী, পুরুষ ও বয়স্ক সব মানুষের সুবিধা থাকবে এখানে। এখানে আমরা সিটি ফরেস্ট গড়ে তুলবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শহরে হাতিরঝিল প্রকল্প করে দিয়েছেন। কল্যাণপুরে আমরা তেমনি ন্যাচারবেজড ইকো পার্ক নির্মাণ করবো।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসা জলাশয়ের এই জমি অধিগ্রহণ করেছে ১৯৮৯ সালে। তখন ডিসি অফিস থেকে জমির মালিকদের টাকা দেয়া হয়েছে। ওয়াসা তখন উচ্ছেদ করেনি ফলে এখানে অবৈধভাবে অনেকে ঘরবাড়ি করেছে। ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান পরিচালনা করে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যারা দাবি করছেন অধিগ্রহণের টাকা পায়নি তাদেরকে ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন ডিএনসিসি মেয়র।

[caption id="attachment_429221" align="aligncenter" width="755"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

মেয়র আতিকুল ইসলামের আহবানে সাড়া দিয়ে রিটেনশন পন্ড থেকে সালমা আক্তার নামে একজন নিজেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তার ৪০টি ঘর ছিল যেগুলো নিজেই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র সালমা আক্তারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মেয়র বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করছি সালমা আক্তারের মতো নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যান। নগরের জন্য, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনারা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন। সালমা আক্তারের মতো মানুষ খুব প্রয়োজন। এমন মানুষদের নগরবাসী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে।

রিটেনশন পন্ডের পাশে জলশয়ে বিএডিসির ভবন নির্মাণ হলে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এখানে ১৭৩ একর জলাশয়ের মধ্যে ১১৭ একর জমি হচ্ছে বিএডিসির। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে বৃষ্টি ধারন অঞ্চলের (রিটেনশন পন্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেয়া আছে। কিন্তু শীতকালে এটা হবে বীজ তলা। এখানে কোন ধরনের বিল্ডিং করতে পারবেনা। অথচ বিএডিসি জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এটি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে।

তিনি বলেন, এখানে পাঁচটি খাল থেকে পানি আসবে বৃষ্টি ধারন অঞ্চলে (রিটেনশন পন্ডে)। যত বৃষ্টি পড়বে এই রিটেনশন পন্ডে পানি আসবে এর পরে পাম্প করে নিয়ে যাব তুরাগ নদীতে। এলাকাগুলোতে কোন জলাবদ্ধতা হবে না। বাস্তবে এটা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে মোহাম্মদপুর,মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া পানিতে ডুবে যাবে। ইকোপার্ক যত বেশি বড় হবে এলাকাবাসী তত বেশি সুফল ভোগ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, পাশেই বিডিআর মার্কেট নামে অবৈধ দখল রয়েছে। এখানে বিডিআর মার্কেট নাম দিয়ে চাঁদাবাজি চলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গেও আমি আলাপ করেছি। এটি দ্রুতই উচ্ছেদ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App