×

জাতীয়

সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ ২৬ মে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৩, ১১:১২ এএম

সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ ২৬ মে

ছবি: বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংযুক্ত।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ১২ মে এর পরিবর্তে আগামী ২৬ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এক সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বে ঘোষিত মহাসমাবেশ কর্মসূচি ১২ মে এর পরিবর্তে আগামী ২৬ মে একই সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তার পরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঢাকায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের সহ সভাপতি মো. ওয়ারেছ আল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, তৃতীয় শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ১৭-২০ মেড কর্মচারি সমিতির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন হাওলাদার, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো. জিয়াউল হক, সমন্বয়ক খায়ের আহম্মেদ মজুমদার, গাজিউল ইসলাম, নো নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, আসমা খানম, মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ১৭-২০ কর্মচারি সমিতির সদস্য সচিব নুরে আলম, সার্চে অব বাংলাদেশ মো. আইনুল হক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, সমন্বয়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, মো. আল্লাহ বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. আসানুর রহমান, মো. ঘোরন আলম, আবুল কালাম আজাদ, সেলিম রেজা, যুগ্ম সমন্বয়ক আফরোজ আলী মোল্যা, মোজহারুল ইসলাম, মো. ফরিদ আহমেদ সরদার, কায়সার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মো. তারিকুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন তালুকদার, মাহবুব হোসেন তালুকদার, আরিফুল ইসলাম, মৌসুমী প্রধান, আশিকুল ইসলাম আশফাকুল আশেকীন, মো. আব্দুল হালিম, গাজী সালাউদ্দিন, শাহীনুর রহমান, আব্দুল্যা আল মামুন, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, বেলা হোসেন, আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যান্য নেতারা।

সভায় মূখ্য সমন্বায়কসহ সমন্বয়কেরা বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে কর্মচারীদের মনের পুঞ্জিভূত অসন্তোষ ও বিরাজিত ক্ষোভ নিরসনসহ ৭ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

সভায় মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। দ্রব্যমূল্যের চরম উর্দ্ধোগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রাপ্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না। ৫ বছর পর পর পে-স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যায়ে কর্মচারীদের ৯ম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা প্রত্যাশিত। অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পদবী বৈষম্য দূর করে পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহলসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো: পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।

১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।

টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধ্যয়ন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

বাজারমূল্যের উর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App