×

জাতীয়

জবি অধ্যাপকের ওপর হামলায় মাদরাসা ক্লার্ক গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ০৫:২০ পিএম

জবি অধ্যাপকের ওপর হামলায় মাদরাসা ক্লার্ক গ্রেপ্তার

কামরুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক থেকে

খুলনার কয়রায় উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি হলেন- উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার ক্লার্ক (করনিক) কামরুল ইসলাম।

শনিবার (৬ মে) খুলনা র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) আসামিকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব-৬ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায়।

খুলনা র‌্যাব-৬ এর বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, ওই মামলার অন্যতম আসামী মাদরাসার করনিক কামরুল ইসলাম খুলনা জেলার কয়রা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ খুলনা জেলার কয়রা লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।

র‌্যাব-৬ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, গত ৫ মে খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম কয়রাতে আসেন। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের জন্য মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ নিয়োগ বোর্ডকে ক্রমশ চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পরীক্ষার কার্যক্রম শেষে গাড়ি যোগে নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন।

এমতাবস্থায় তাদের বহন করা নিয়োগ বোর্ডের গাড়িটি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন গাড়িটি আটকে দেয়। এ সময় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানের কথামতো নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একটি কক্ষে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে আটক করে মাদ্রাসার প্রধান করনিক আসামী কামরুল তার কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়। পরে আহত অবস্থায় অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা জেলার কয়রা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে র‍্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে খুলনা জেলার কয়রা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে এই অধ্যাপকের ওপর হামলার ঘটনায় জবি শিক্ষক সমিতি আজ রবিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেন। এসময় মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App