×

জাতীয়

মুক্তি রাণী হত্যা: প্রীতিলতা ব্রিগেডের মানববন্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম

মুক্তি রাণী হত্যা: প্রীতিলতা ব্রিগেডের মানববন্ধন

মুক্তি রাণী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মানববন্ধন করে প্রীতিলতা ব্রিগেড। ছবি: ভোরের কাগজ

মুক্তি রাণী হত্যা: প্রীতিলতা ব্রিগেডের মানববন্ধন

নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রীতিলতা ব্রিগেড।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে বক্তারা মুক্তি রাণী বর্মনের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান এবং হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি এরকম ঘটনারোধে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন সেল গঠন করা ও যেগুলোতে এই সেল আছে সেই সেলগুলো কার্যকর করার দাবি জানান।

সংগঠনটির সদস্য লাভলী হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে প্রীতিলতা ব্রিগেডের সমন্বয়ক সুমাইয়া সেতু বলেন, জন্মগতভাবে ওই ছেলে কখনোই ঘাতক হয়ে জন্মায়নি। চলমান এই সমাজ তাকে ঘাতক বানিয়েছে৷ কেন এই ঘটনাগুলো ঘটছে সেই কারণগুলো চিহ্নিত করে এই কারণগুলো নিয়ে ভাবার সময় এসেছে এখন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান এমন একটি সময় এসেছে যেখানে দেশের সর্বত্র নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। শুধু মুক্তি রাণী নয়, গোটা দেশেই মেয়েরা নিরাপদ নয়। সব এলাকায় কিশোর গ্যাঙ তৈরি হচ্ছে যারা অন্যদের হয়রানী করছে। কিছুদিন ধরেই আমরা এসব বেশি শুনছি। কিশোর গ্যাঙ গড়ে উঠার পেছনের কারণগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষকে ‘মানুষ’ হিসেবে গড়ে উঠার বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, নিহত মুক্তি রাণী উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুর গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। সে ছালিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়্যুথ গ্রুপের সদস্য ছিল। আর ঘাতক কাউসার মিয়া একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করেছেন নিহত মুক্তি রাণী বর্মণের বাবা।

ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে প্রেমনগর গ্রামের ধানক্ষেত সংলগ্ন জঙ্গল থেকে ঘাতক কাউসারকে (১৮) আটক করে পুলিশ।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তি রাণীর পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম করে কাউসার। মূলত দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পরেও রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আঘাত করেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

পরবর্তীতে সহপাঠী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। মমেক হাসপাতালে নেয়া হলে ওই দিন বিকেল পাঁচটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তি রাণীকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে গত বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুক্তি রাণীর মরদেহ প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় বাড়িতে। পরে বাড়ির পাশে কংস নদীর তীরে তাকে দাহ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App