×

জাতীয়

আজমত উল্লা খানকে শোকজ, ইসিতে তলব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম

আজমত উল্লা খানকে শোকজ, ইসিতে তলব

আজমত উল্লা খান। ফাইল ছবি

জবাব দিতে হবে ৭ মে

মনোনয়পত্র দাখিলের সময় মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন করার ফলে নির্বাচনি আচরণবিধি ভাঙার দায়ে কেন আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হবেনা অথবা তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে আগামী ৭ মে বিকেল তিনটায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) ইসির জনসংযোগ উপপরিচালক আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান গত  ২৭ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেবার সময় শো ডাউন করে নির্বাচনী বিধি ভাঙেন। এর জন্য ইসি তাকে শোকজ করে ও স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলেছে।

এছাড়া, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ-সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র) হিসেবে যাতে দলীয় কার্যক্রম গ্রহণকালে অথবা অন্য কোনো কার্যক্রম নিতে আচরণবিধি মেনে চলেন তার জন্য পরামর্শ দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উল্লিখিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যাতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণকালে নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনে চলেন তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে  নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমনসূচি জারি করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার বিষয়টি গোচরীভূত হলে মন্ত্রীদ্বয়ের একান্ত সচিবদেরকে নির্বাচনি আচরণ বিধির বিষয়টি অবগত করেন। একই সঙ্গে তিনি চিঠিতে  সংশ্লিষ্ট  মন্ত্রীদের একান্ত সচিবদেরকে জানান। তা সত্ত্বেও ওই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার জন্য সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর ২২ বিধিতে বিধান রয়েছে। তাছাড়া আচরণ বিধিমালার বিধি ৭, বিধি ১৩, বিধি ২০, বিধি ২৫ অনুযায়ী সভা সমিতি অনুষ্ঠান, যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার, প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচন ইত্যাদি না করার বিষয়ে বিধান রয়েছে।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App