×

জাতীয়

দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৪ এএম

দাসেরকান্দি পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর এটি এখন পুরোপুরি চালু রয়েছে। এখানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য শোধন করা যায়।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান সম্প্রতি ভোরের কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাতিরঝিলে যেন বর্জ্য না পড়ে সেজন্য আমরা দুটি ডাইভারশন পাইপলাইন স্থাপন করি। গুলশান-বনানী-তেজগাঁও-মগবাজার, মালিবাগের পয়ঃবর্জ্যগুলো একটা ডাইভারশানে আটকে দেয়া হয়। এসব বর্জ্য আগে বেগুনবাড়ি খালে ফেলা হতো। সেখান থেকে আনট্রিট অবস্থায় সেগুলো যাচ্ছিল বালু নদীতে। এ অবস্থায় আমরা দাসেরকান্দি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার টার্গেট নিই। এই পয়ঃবর্জ্যগুলো যেন ট্রিট করা যায়, সেই কাজটা এখন চলছে। রামপুরা ব্রিজের পাশে লিফটিং স্টেশন করেছি। পয়ঃবর্জ্যগুলো সেখানে লিফট করে আফতাবনগরের ভেতরে ৫ কিলোমিটার ডাবল পাইপলাইন দিয়ে দাসেরকান্দিতে শোধন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ টেকনোলজিভিত্তিক।

প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে- এটি অদ্ভুত কথা। বলা হয়েছে- আফতাবনগরের ভেতর দিয়ে নাকি কোনো পাইপলাইনই নেয়া হয়নি। তাহলে পয়ঃবর্জ্যগুলো পরিষ্কার বা শোধন করা হচ্ছে কীভাবে? হ্যাঁ, ক্যাচমেন্ট এলাকায় আমরা এখনো পাইপলাইন করিনি। এই এলাকার জন্য নির্দিষ্ট ক্যাচমেন্ট এরিয়া ছিল গুলশান, বনানী, বারিধারা ও তেজগাঁও। পুরো এলাকা থেকে ‘ডোর টু ডোর’ কানেকশন নেটওয়ার্ক আমরা এখনো করিনি। কারণ এটা করার আগেই আমরা বেশিরভাগ বর্জ্য ডাইভার্ট করে ফেলেছি। মধুবাগ থেকে মালিবাগ ও ধানমন্ডি থেকেও ডাইভার্ট করেছি। যখন আমরা নেটওয়ার্ক করব, তখন ডিজাইনটি হবে তেজগাঁও, গুলশান, বনানীর জন্য। এখন হচ্ছে তেজগাঁও, গুলশান, বনানীর আংশিক, মালিবাগ-মধুবাগের আংশিক। এটা পাগলা ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় পড়ে। আর কিছু অংশ ধানমণ্ডি এলাকা ও পান্থপথ দিয়ে আসছে। সেটা রায়েরবাজার ক্যাচমেন্ট এরিয়া। ওই দুটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হয়ে গেলে এগুলো সব ওই জায়গার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে চলে যাবে। হাতিরঝিল পর্যন্ত আসবেই না। কাজেই এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। কোনো কিছুর ব্যত্যয়ও ঘটেনি।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি স্টেট-অব-দ্য-আর্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এটি করা হচ্ছে সম্পূর্ণ চীনা অর্থায়নে। প্রকল্প পরিচালক আইপিসি সাইন করতেন। সেটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে ইআরডি হয়ে দূতাবাস হয়ে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংকে যেত। তখন তারা পেমেন্ট দিত সরাসরি কন্ট্রাকটারকে। তাহলে কোথা থেকে কীভাবে দুর্নীতি হলো? এরকম কোনো অভিযোগও কখনো উত্থাপিত হয়নি। কারণ এখন সবকিছু ওপেন। সব কাগজপত্র ওপেন। ওয়েবসাইটেই সব আছে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতির অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা।

ওয়াসার এমডি বলেন, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পরিশোধনের পর পানি থেকে কঠিন অংশটাকে আলাদা করা হয়। পরিশোধিত পানি নদীতে ফেলছি। এই পানি পান করা বাদে সব কাজে ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্যান্ডার্ডে এটাকে পানের যোগ্যও বলা হয়। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। আর এখান থেকে উৎপাদিত ফ্ল্যাই অ্যাশ সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আমরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সঙ্গে আলাপ করেছি। ল্যাবরেটরিতে টেস্ট হয়েছে। একটা সিমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধও হয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App