×

জাতীয়

জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:২২ পিএম

জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০’ (বিইপি ২০৫০) শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। ছবি: মাসুদ পারভেজ আনিস

জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে
জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে
জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে

জ্বালানি নিরাপত্তার ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে। জ্বালানি সেক্টরে অনেক সাংঘর্ষিক নীতি ও পরিকল্পনা থাকলেও সমন্বয় সাধনের প্রয়োজন রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে যুক্ত করা উচিৎ বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০’ (বিইপি ২০৫০) শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যকালে তিনি এভাবেই ভবিষ্যত জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, এমওইএফসিসি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জলবায়ু সংসদের চেয়ারপার্সন তানভীর শাকিল জয় এমপি, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনা দলের সমন্বয়ক ড. কাজী খলীকুজ্জামান প্রমুখ্য বক্তব্য রাখেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বুনিয়াদ। আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’-কে রাখতে হবে। তাছাড়া ২০০৮ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিলো ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তা প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে ৪৮৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আমরা আমাদের বুনিয়াদ সুসংহত করেছি। এখন আমাদের পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে হবে। তাই ইন্টিগ্রেটেড এনাজির মাস্টার প্ল্যান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত দলিল এবং এটি অবশ্যই মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তার ইস্যুকে বিরাজনীতিকরণ হওয়া প্রয়োজন। অনেক সাংঘর্ষিক নীতি ও পরিকল্পনার মধ্যেও জ্বালানি নিরাপ্তার বিষয়টি সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। এই দিকটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলোর আসন্ন নির্বাচনী ইশতেহারে জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়গুলোকে যুক্ত করার আহ্বান জানাই।

সাবের হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, আমরা ২০৪১ সালের দিকে তাকিয়ে আছি। সারাবিশ্ব এনার্জি ট্রানজেকশনের নিয়ে আলোচনা করছে। সারা বিশ্ব জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছে। জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি এখন একটি বৈশ্বিক বিষয়। আমাদেরকেও জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। জ্বালানি খাতে ৮ বিলিয়ন ডলার ভর্তুবি দিতে না পারলে আজকের এই প্রবৃদ্ধি হতো না। জ্বালানি আমাদের উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এখন সময় এসেছে জ্বালানি নিরাপত্তার মাস্টার প্লান করে এগিয়ে যেতে হবে। স্মার্ট ট্রানজেকশন ব্যবস্থা করতে হবে। এতে আমাদের ৪০ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই এক ডলার বিনিয়োগের আগে সুবিধা পাওয়া যায় কিনা তা ভাবতে হবে, এজন্যই মাষ্টার প্ল্যান জরুরি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, এখন শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি কার্যকর করা সম্ভব, যা এক সময় অসম্ভব এবং ব্যয়বহুল বলে মনে করা হতো। তাই এখন জ্বালানি মিশ্রণ নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। কতটুকু জ্বালানি নবায়নযোগ্য বা ক্লিন এনার্জির উৎস থেকে আসা উচিত তাও আলোচনায় আসতে হবে। এটি রাতারাতি সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে সেদিকে এগিয়ে যেতে একটি রোডম্যাপ ঠিক করা জরুরি। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস করে সৌর ও বায়ু শক্তির মত বিকল্প জ্বালানি উৎসগুলিতে বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়ে হবে।

ড. কাজী খলীকুজ্জামান বাংলাদেশের জনগণের জীবন বাঁচাতে জলবায়ু অভিযোজনে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদার মাত্র দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অথচ ৬০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করা হয় গ্যাস থেকে। কয়লা থেকে পূরণ করা হয় ১১ শতাংশ। তাই কোনো অবাস্তব পরিকল্পনা সফলতা আনবে না। আমাদেরকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে খাদ্য উৎপাদনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না তা নিশ্চিত করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App