×

জাতীয়

বন্ধুত্বের নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-জাপান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৮ এএম

বন্ধুত্বের নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-জাপান

ছবি: ফোকাস বাংলা

একাত্তরে বাংলাদেশের প্রতি যে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করেছিল জাপান, স্বাধীনতার ৫২ বছরে সেই হাত আরো সুদৃঢ় করেছে দুই দেশ। গতকাল বুধবার সূর্যোদয়ের এই দেশটির সঙ্গে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। জাপান সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি ও সমঝোতা হওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্কসংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা।

বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীতে এ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা করেন তারা। যৌথ বিবৃতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেছি। আগামীতে এ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।

যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং আমি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবকিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ ও জাপান সফলভাবে বিদ্যমান সম্পর্ককে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেছে। আমি নিশ্চিত আমাদের দুই দেশের জনগণ এবং আমাদের সরকারের মধ্যেকার বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরো শক্তিশালী হবে।

প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতির আগে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। সহযোগিতা বাড়াতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি, শুল্কবিষয়ক, প্রতিরক্ষা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা, শিল্প আপগ্রেডিং, বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ, জাহাজ পুনর্ব্যবহার এবং মেট্রোরেল বিষয়ে আমরা দুই দেশ ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক আমাদের ভবিষ্যৎ সহযোগিতাকে আরো প্রাতিষ্ঠানিক করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি এই বছরের মধ্যে ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। বৈঠকে বঙ্গোপসাগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ

দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের জন্য মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ এবং বিগ-বি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনার কথা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের সহযোগিতা চাওয়ার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা জাপানকে অনুরোধ করেছি মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে।

জাপানের আতিথেয়তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং জাপান সরকার আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে আতিথেয়তা দেখিয়েছে তাতে আমরা গভীরভাবে মুগ্ধ। সুন্দর দেশ জাপানে আসাটা আনন্দের। জাপান সব সময় আমাদের হৃদয়ে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি সম্পন্ন করার পর সরকারি সফরে টোকিওতে আসতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাপান তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন।

আট চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই : বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে হওয়া আট চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে- কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন, সক্ষমতা বাড়ানোবিষয়ক সহযোগিতা বাড়াতে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে জাপানের কৃষি, বন এবং মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়। শুল্কবিষয়ক পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে একটি চুক্তি সই করে জাপান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় দুই দেশ শুল্ক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা; শুল্ক অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত ও দমন করা এবং শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ ও সমন্বয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। ‘বাংলাদেশ-জাপান শিল্পোন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়। এ চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে মসৃণ উত্তরণ এবং ‘ভিশন-২০৪১’ এর আওতায় ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে সরকার ও বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে এবং যৌথভাবে শিল্পের মানোন্নয়নের সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি কাঠামো স্থাপন করতে সহযোগিতা হবে।

প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা করতে একটি সমঝোতা সই করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকার। এই সমঝোতার আওতায় প্রতিরক্ষা সংলাপ, সফর বিনিময়, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত অন্যান্য কার্যক্রম এবং সহযোগিতা জোরদার করা হবে।

মেট্রোরেল ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় মেট্রোরেল নীতি, আইন এবং প্রবিধানে সহযোগিতা; অবকাঠামো, রোলিং স্টক এবং সিস্টেমের জন্য প্রযুক্তি; নিরাপত্তা নীতি এবং ব্যবস্থাপনা; দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সহযোগিতা হবে।

জাহাজ ভাঙা শিল্প সেক্টরে একটি সহযোগিতা স্মারক সই করেছে জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ২০২৩ সালের মধ্যে জাহাজের নিরাপদ ও পরিবেশগতভাবে সঠিক পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এক্ষেত্রে একটি ট্রিটমেন্ট, সংরক্ষণ ও নিষ্ক্রিয়করণ সুবিধা প্রতিষ্ঠাসহ হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা দেবে জাপান।

একটি সহযোগিতা স্মারক সই করেছে জাপান পেটেন্ট অফিস এবং বাংলাদেশের বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তির পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ। এর আওতায় তথ্য ও চর্চার আদান-প্রদানের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অধিকার (আইপিআর) সিস্টেম এবং আইপিআরের গুরুত্ব বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা, শিল্প ও উদ্ভাবনের বিকাশে আইপিআর সিস্টেমের উন্নতি। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তাসহ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি সহযোগিতা স্মারক সই করে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।

এর আগে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ফুমিও কিশিদা তাকে স্বাগত জানান এবং আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রবেশপথে গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন। রাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার দেয়া নৈশভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

কূটনৈতিক সম্পর্কের মাইলফলক : এদিকে জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মব্যস্ততার আদ্যপান্ত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, জাপানের সম্রাট এবং প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরা দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারিত্ব ওপেন করেছি এবং দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে আশা করেন। আগে দুইবার প্রধানমন্ত্রীর সফর হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এবারের আবহাওয়া ভালো। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে যা কূটনৈতিক সম্পর্কের মাইলফলক।

সমঝোতা ও চুক্তির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপান সরকার বাজেট সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য জাপানের সহযোগিতা আশা করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং নতুন সম্পর্কের দ্বার উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।

সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ : জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এর আগে সকালে জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেস স্টেট গেস্টহাউসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও সিইওরা। প্রথমেই দেখা করেন বাংলাদেশ-জাপান কমিটি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের চেয়ারম্যান ফুমিও কুকোবু। এরপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাইকা প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। পরে স্টেট গেস্টহাউসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জেট্রোর চেয়ারম্যান ইশিগুরো নোরিহিকো। পাশাপাশি ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের প্রেসিডেন্ট তারো আসো।

আজ বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী : আজ ২৭ এপ্রিল শেখ হাসিনা টোকিওতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং জেট্রোর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। তিনি চারজন জাপানি নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা’ তুলে দেবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া তিনি জাইকা, জেইটিআরও, জেইইআইসি, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকসহ আরো কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন। জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘এনএইচকে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করবে।

টোকিও থেকে ওয়াশিংটনে গিয়ে ১ মে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এরপর সেখান থেকে ৪ মে লন্ডনে গিয়ে রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ৯ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App