×

জাতীয়

বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব

রামেন্দু মজুমদার। ফাইল ছবি

ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি আর চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশে পেরিয়ে গেছে আরো একটি বছর। বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার মোহনা। যে মোহনায় একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের ধারক-বাহক নববর্ষ। ধর্মান্ধ-মৌলবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই, প্রতিবাদ, অহিংস আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে নববর্ষ- এমন প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঝর্ণা মনি।

বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাংলা নববর্ষ। আমরা যত বেশি যুক্ত হব, তত বেশি চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারব। আবহমান বাঙালির লালিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যারা ধর্মকে মেশায় তারা তো ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মান্ধতা ছড়ানোর জন্য কাজ করে। এসব অপসংস্কৃতিতে মোহাবিষ্টদের একেবারেই প্রশ্রয় না দিয়ে, বিবেচনায় না নিয়ে আমরা যত বেশি উৎসবে সম্পৃক্ত হব, তত বেশি উৎসব চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, তত বেশি ধর্মান্ধদের সংখ্যা কমবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাড়বে। সংস্কৃতি চর্চার দ্বার অবারিত হবে।

বাঙালিকে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে শুভশক্তির লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। অতীতে যেভাবে বড় বড় ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সুস্থ, সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছে, বর্তমানেও সেভাবে প্রতিহত করতে হবে। মানুষকে প্রতিবাদী হতে হবে।

বাঙালি চেতনার ওপর ভিত্তি করেই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে না পারি, তাহলে তারা তো আর এই চেতনার ধারক-বাহক হতে পারবে না। সুতরাং আমি মনে করি, এটি শুধু সরকার, রাষ্ট্র কিংবা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নয়, এটি পরিবারের দায়িত্ব। পরিবার সন্তানদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, বাঙালির চেতনার কথা বলবে, তাকে মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন করে তুলবে। তাকে পরিপূর্ণ মানুষ করে তুলবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App