×

জাতীয়

চৌকিতে দোকান বসিয়ে বিকিকিনি শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১০ এএম

https://www.youtube.com/watch?v=FixngYc1Nd4

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩৮৪৫ জন

রাজধানীর বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। পোড়া আবর্জনা সরিয়ে বালি ছড়িয়ে সমান করা হচ্ছে মাটি। তার ওপর ইট বিছিয়ে চৌকি পেতে ঈদের আগে বিকিকিনির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বঙ্গবাজার। আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে বড় পরিসরে পুড়ে যাওয়া স্থানে ইটের উপর বসতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিকিকিনির উদ্বোধন করেন।

এদিকে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে ডিএসসিসির তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, ডিএসসিসির গঠিত তদন্ত কমিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দাখিল করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৪৫ জন। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় কমিটির সভাপতি ও অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, কমিটির সদস্যদের মধ্যে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, রমনা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মামুনুল হক এবং সংরক্ষিত আসন-৫ এর কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, বঙ্গবাজারের ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানোর কাজ চলছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে এই জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে। করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটিও এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, পুরো এলাকায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলে প্রায় আড়াই লাখ ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে ৪০ গাড়ি বালি ফেলে প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানোর কাজ শেষ হয়েছে। পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছাতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

তিনি জানান, গত সোমবার সকাল থেকে মার্কেটের জায়গা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল ভোর ৬টার দিকে আগুন লাগে বঙ্গবাজারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে আগুনের তীব্রতা। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, গুলিস্তান ইউনিট, মহানগরী ইউনিট, আদর্শ ইউনিট, মহানগর কমপ্লেক্স সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এনেক্সকো টাওয়ার, ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেট। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পাঁচ হাজারের মতো দোকানি-ব্যবসায়ী, যারা ঈদ সামনে রেখে লাখ লাখ টাকার কাপড় তুলেছিলেন দোকানে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একটি অংশ ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় গত রবিবার থেকে বঙ্গবাজারের দক্ষিণ পাশের সড়কে চৌকি বসিয়ে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন। ধ্বংসাবশেষ এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর পাশেই তারা বসিয়েছেন চৌকি।

উল্লেখ্য, রবিবার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ডিএসসিসির মেয়র তাপস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সেখানে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে, এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ডিএসসিসি করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ৫ ফিট বাই সাড়ে ৩ ফিট আকারের সাড়ে ১৭ বর্গফুটের চৌকি বসানো হবে। পুড়ে যাওয়া মার্কেটের একাধিক দোকানের মালিকও একটি করে চৌকি বসাতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App