জেনারেল এম এ জি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

রবিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবের উপর তৃতীয় দিনে আলোচনা অংশ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

ইতিহাস থেকে স্মৃতিচারণ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কোনো প্রতিরোধ নেই, কিছু নেই। অনেকে জড়িত ছিলো, জিয়াউর রহমান সরাসরিভাবে জড়িত ছিলো। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সামরিক বাহিনীর যারা সদস্য ছিল কেউ প্রতিবাদ করেনি। বিশাল ষড়ন্ত্রেও মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ‘৭৩ এর নির্বাচনে একদিকে আওয়ামী লীগ আর সব অন্য দিকে। জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী দলগুলো, জাসদ, বাসদ মানে যারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র সবাই মিলে সেদিন বিরুদ্ধে ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে কোনো প্রতিবাদ হয়নি, আমরা অঝরে কেঁদেছি। আমাদের হাতে কিছু ছিলো না, কিছু করতে পারিনি, আমরা মুক্তিযোদ্ধা আমাদের হাতিয়ার ছিলো না। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুও পরে এই সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। আমাকে জেনারেল ওসমানী, এই জেনারেল ওসমানীকে বঙ্গবন্ধু যে কত ভালবাসতেন। তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, বীর উত্তম, বীর প্রতিক খেতাব দিয়েছে এবং যাকে পেয়েছে তাকে দিয়েছে। ও আমাকে টেলিফোন করে বলে যে আমি জনতা লীগ করেছি আপনি আমার দলে থাকবেন। আমি বললাম আপনি কি বললেন আমি তো দল করি, তিনি বলেন, বলে কোন দল করেন? আমি বললাম আমি তো আওয়ামী লীগ করি। ওনি বলে আপনি আওয়ামী লীগ করেন, আওয়ামী লীগ কি আছে? এই জেনারেল ওসমানী আমাকে এসব বলে। আমাকে কে এম ওবায়দুর রহমান ফোন করে বলেন আমি মিজান লীগ করি আপরি চট্রগ্রামের লোকদের নিয়ে আসেন। আমি তাকে চট্রগ্রামের ভাষায় গালি দিলাম ‘শালা যদি আর একবার কস তো ঠ্যাং ঠুং ভেঙে ফেলবো তোর’। এরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। জেনারের ওসমানীও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে আমি এটা বলতে চাই।