×

জাতীয়

‘রিকশা ঢুকতে না দেয়ায় অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিই’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম

‘রিকশা ঢুকতে না দেয়ায় অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিই’

শুক্রবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে স্মারক ও শেষ বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান। ছবি: ফোকাস বাংলা/পিএমও

‘রিকশা ঢুকতে না দেয়ায় অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিই’

জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) তিনি বলেন, ‘আমি একদিন রিকশায় করে সংসদে (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) যাচ্ছি। কিন্তু গেটে যেতেই নিরাপত্তা প্রহরী রিকশা থামিয়ে দিয়ে বললো, রিকশা ভেতরে যাবে না। কিন্তু গাড়ি ঢুকছে অবলীলায়। নিরাপত্তা রক্ষীকে অনেক যুক্তিতর্ক দিয়েও কাজ না হলে রিকশা ছেড়ে পায়ে হেঁটেই সংসদে প্রবেশ করি ও তাৎক্ষণিকভাবে সব ঘটনা উল্লেখ করে আমার অধিকার ক্ষুণ্ণের একটি নোটিশ জমা দেই। একদিন পরেই তৎকালীন চীফ হুইপ মরহুম শাহ মোয়াজ্জেম আমাকে নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন। আমি প্রত্যাহারে রাজি না হলে কিছুক্ষণ পরেই সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু নিজেই আমাকে ডেকে বললেন, কি রে, তোর কী হয়েছে? আমি বললাম, গাড়িতে যারা আসে তাদেরকে যেমন ড্রাইভার নিয়ে আসে তেমনি আমাকেও রিকশার ড্রাইভার (চালক) নিয়ে আসে। কিন্তু গাড়ি ঢুকতে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও রিকশা নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না এটা তো ঠিক না। তাই আমি অধিকার ক্ষুণ্ণের নোটিশ দিয়েছি এবং আমি প্রত্যাহার করতে চাই না। বঙ্গবন্ধু সব শুনে পিঠে একখান কিল মেরে বললেন, আচ্ছা এখন তুই নোটিশ তুইলা ফালা। তোর তো গাড়ি নাই। দেখি কী করা যায়। পরে অবশ্য একটা পুরনো গাড়ির ব্যবস্থা হয়েছিল। যদিও সেটি কিনতে এবং মেরামত করতে নতুন গাড়ি কেনার সমানই খরচ হয়েছিল। এভাবেই বঙ্গবন্ধু সব সংসদ সদস্যের অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়ার খেয়াল রাখতেন।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App