×

জাতীয়

খুন হওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম

খুন হওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার!

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় খুন হওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর নরসিংদী থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে নাহিদ ওরফে তাজুল নামে এক তত্ত্বাবধায়ককে। এ খবরে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

নাহিদ তার বিছানা ও থাকার কক্ষে রক্তের মতো তরল পদার্থ ছিটিয়ে মধ্যরাতে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের ৪০ ঘণ্টার অভিযানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন রহস্য। অবশেষে তাকে নরসিংদী থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে! গ্রেপ্তারের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তিনি মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন।

রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) ভোর রাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমান উদ্দিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান যে, মাথিউরা ইউনিয়নের অন্তর্গত মাথিউরা পূর্বপার গ্রামের মো. আব্দুল হেকিমের (৬৮) বাড়ির কেয়ারটেকার নাহিদ ইসলাম (২৮) খুন হয়েছেন। তার ঘরভর্তি রক্ত। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বিছানা, ঘরের মেঝে ও বারান্দা রক্তে সয়লাব থাকলেও মরদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড মনে হওয়ায় এর রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিয়ানীবাজার থানার একটি গোয়েন্দা দল অনুসন্ধানে মাঠে নামে। অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১ এপ্রিল) খুন হওয়ার নাটক সাজানো নাহিদকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।

পুলিশ সুপার মামুন আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর ধরে বিয়ানীবাজারের ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় কেউ জানতেন না। নাহিদের বাড়ি নীলফামারীতে সেখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তিনি বিয়ানীবাজারে আত্মগোপনে আছেন।

পুলিশ জানতে পারে, নাহিদ মূলত অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা তার ঋণ হয়ে যায়। এরপর তিনি কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম পরিবর্তন করে স্থায়ী ঠিকানা গোপন রেখে বিয়ানীবাজারের ওই বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতে শুরু করেন। আর সেই ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তার আসল নাম তাজুল ইসলাম। তিনি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার বড়ভিটা পূর্বপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।

এদিকে, নাহিদের নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের এ নিয়ে সন্দেহ হলে তার ঘর তল্লাশি করে একটি ডায়েরি খুঁজে পায়। এতে তার দেনা-পাওনার হিসাব লেখা। তল্লাশির সময় তার ঘরে একটি বালতি ও মগে রং গুলিয়ে রাখার আলামতও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে নাহিদকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App