×

জাতীয়

২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১০ পিএম

২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আগামী ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। সাধারণ মানুষ একদিনের বাড়তি ছুটি পেলে ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, পথে পথে হয়রানি ও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।

রবিবার (২ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রনি মিলনায়তনে ‘ঈদ যাত্রায় ভয়াবহ যানজট, যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া দেয় নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের দাবি’তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এছাড়া এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরো প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে। এই অবস্থায় ১৬ এপ্রিল থেকে ঈদ যাত্রা শুরু হলেও ১৮ এপ্রিল বেতন বোনাস পাওয়ার পর ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়বে। এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীর চলাচলের সুবিধার্থে ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রীর চাপ ও হয়রানি কিছুটা কমতে পারে। অন্যথায় একুশে এপ্রিল সড়ক রেল ও নৌপথের পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরো বলেন, যানজট ও নানা ও ব্যবস্থাপনার কারণে গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদ যাত্রায় ভয়াবহ নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সড়কপথে গণপরিবহনের ভয়াবহ সংকট চলছে। প্রায় ৪০ হাজার দূরপাল্লার বাসে ২ লাখ যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। ডবল টিপ দেয়া হলে চার লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। কিন্তু এই সময়ে রাস্তায় যানবাহনের চাপের কারণে গণপরিবহনকে ডবল ট্রিট দেয়া সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেলে ঈদ যাত্রা সুযোগ দেয়া হলে রাজধানীর পাশ থেকে ছয় লাখ বাইকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারবে। এতে খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়কের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বহুলাংশে বেড়ে যাবে। এবারের ঈদ যাত্রায় রাজধানীতে তীব্র যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে ঘরমুখো মানুষ।

তিনি আরো বলেন, কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয়। এসব এলাকা যানজট মুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি। ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে প্রতিবছর সড়ক ও নৌপথে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। অদক্ষ চালক দিয়ে আনফিট যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক ও দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ঈদে কয়েকশো যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এবারও অতিরিক্ত জাতির চাপ থাকায় স্বরূপ ও নৌপথে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে। ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে সারা দেশে ৩৭২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৬ জন নিহত এবং ৮৪৪ জন আহত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য, সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App