নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এবারের কয়েক পশলা বৃষ্টিতেও ঢাকার কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন জলমগ্নতা বা জলবদ্ধতা নিরসন হয়, আমাদের সেই ব্যবস্থা আছে। আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশন করতে পারি।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধলপুর আউটফল এলাকায় কেন্দ্রীয় যানবাহন বিরামাগারের (মটর গ্যারেজ) নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসেনর সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, কাউন্সিলদের মধ্যে মো. আবুল কালাম অনু, বাদল সরদার ও লাভলী চৌধুরী।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা নর্দমাগুলো পরিষ্কার করছি। ঢাকা ওয়াসা থেকে খাল ও নর্দমাগুলো পাওয়ার পর থেকে সূচি অনুযায়ী বছরের প্রথম থেকেই পরিষ্কার করা শুরু করি। যাতে জলাবাদ্ধতা না হয়। এরই মাঝে বৃষ্টি হয়েছে কয়েক পসলা। তাতে কোথাও কোনো জলমগ্নতা হয়নি। আমাদের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো আমরা করছি। আগামী বর্ষাতেও আমাদের পূণ প্রস্তুতি আছে। আমাদের টার্গেট নগরীতে অতিবৃষ্টি হলেও মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারি।

কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ বিরামাগার সম্পর্কে মেয়র বলেন, এই জায়গার ১৫ একর জমি বহিরাগতদের দখলে ছিল। আমরা দখলমুক্ত করেছি। এরমধ্যে পাঁচ একর জমিতে আমাদের কর্মচারী ও তেলেগু সম্প্রদায়ের ১২৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। বাকি ১০ একর সাত শতাংশ জমিতে সব যান-যন্ত্রপাতি, গাড়ি রাখার জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক বিরামাগার তৈরীর করব। এটি বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ সিটিতে গাড়ি ও যান-যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে। আমাদের সব গাড়ি, যান-যন্ত্রপাতি রাখতে আর কোনো অসুবিধা হবে না। মেরামত ও ধোয়ামোছার জন্য আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা এখানে থাকবে। এখন আমাদেরকে অনেক গাড়িই বাইরে রাখতে হচ্ছে, রাস্তার উপর রাখতে হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হচ্ছে। এটা আর হবে না।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, তেলেগু সম্প্রদায়ের কেউই আমাদের কর্মচারী না। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া আমাদের প্রায় ৮০০ কর্মচারী আছে, তাদেরকেও এখানে পুনর্বাসন করেছি। এখানে অনেকগুলো ভবন করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ও নির্দেশনায় ৫ একর জমিতে নতুন আবাসিক ভবন হবে। সেখানে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা থাকবে।

এরপরে ডিএসসিসি মেয়র ধলপুরে সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কাজ পরিদর্শন ও রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণী ও শহিদ শামসুন্নেসা আরজু মণি স্মৃতি ট্রাস্ট কর্তৃক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।