মাত্র ৫১ বছরে বাংলাদেশ কত দূর এগিয়েছে!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে ওঠার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবই বাংলাদেশের আছে। আমি অবাক হই যে মাত্র ৫১ বছরে বাংলাদেশ কত দূর এগিয়েছে! আমি এমন বাংলাদেশকে দেখি, যারা আজ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। আমি যখন গাড়ির সামনের রাস্তার দিকে তাকাই, তখন আমি কল্পনা করতে পারি, আগামী ৫১ বছরে বাংলাদেশ আরো কতদূর এগোবে!
বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। ভিডিও বার্তায় বিগত বছরের পর্যালোচনার পাশাপাশি তার চিন্তা-ভাবনাগুলোও তুলে ধরেন পিটার হাস।
ভিডিও বার্তায় পিটার হাস বলেন, তবে সামনের রাস্তায় বহু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রতিবন্ধকতাগুলো পার হতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পরিচর্যা, সুশাসনের উন্নতি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনগণকে শিক্ষিত করে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সঙ্গী ছিল, আগামীতেও থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আজ আমি এক বছর পূর্তি করতে পেরে আনন্দিত। গত এক বছরে ঢাকা, সুন্দরবন, রাজশাহী ও কক্সবাজারসহ অনেক জায়গা ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সিঙ্গারা, বিরিয়ানি ও মিষ্টি দই খুব ভালো লেগেছে। আমি সর্বস্তরের বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করেছি।’
পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশের কথা ভাবলে আমার মনে একটা উপমা আসে। সেটা হলো- আমি এমন এক গাড়িতে যাত্রা করেছি, যার চলাচল আসলে ভ্রমণের মতো। আমি যখন গাড়ির আয়নার দিকে তাকাই, আমি অবাক হই যে মাত্র ৫১ বছরে বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে। আমি এমন বাংলাদেশকে দেখি, যারা আজ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। আমি যখন গাড়ির সামনের রাস্তার দিকে তাকাই, তখন আমি কল্পনা করতে পারি, আগামী ৫১ বছরে বাংলাদেশ আরও কতদূর এগোবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এর জনগণ এই গাড়ির চালকের সামনে রয়েছে। এই গাড়ির ভবিষ্যৎ যাত্রাপথ ও গতি নির্ধারণ করবেন আপনারাই। তবে এই যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সঙ্গী ছিল, আগামীতেও থাকবে। আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য আমরা যথাসাধ্য সবকিছু করব। এই মহান দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দ্বিতীয় বছরের শুরুতে আমি সেই যাত্রার অপেক্ষায় আছি।’
