দোকান থেকে আর ফিরলেন না নাজমুল হোসেন (২৫)। আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাই ছিল তার শেষ যাত্রা। রাজধানীর গুলিস্তানে ভয়ংকর এক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান তিনি।

জানা গেছে, নাজমুল রাজধানীর বংশালে মা-বাবার সঙ্গে থাকেন। নর্থসাউথ রোডের আলুবাজারে বিস্ফোরণ হওয়া মার্কেটের নিচতলায় আনিকা স্যানিটারির কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিন দুপুরে বাসা থেকে খাবার খেয়ে আবার দোকানে ফেরেন। কিন্তু এ যাত্রায় আর ফেরা হলো। উল্টো চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকেলে বিস্ফোরণের সময় নাজমুল দোকানেই বসা ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দে দোকানে আগুন ধরে যায়। তার শরীর পুড়ে যায়। মাথাসহ দেহের একাধিক স্থানে ক্ষত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিলাপ করছিলেন নাজমুলের ছোট ভাই, বোন ও খালা পারভীন আক্তার। ভাইকে হারিয়ে পাগলপ্রায় অবস্থা নাজমুলের বোনের।

বিলাপ করতে করতে নাজমুলের খালা পারভীন আক্তার বলেন, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাজমুল সবার বড়। দোকানে চাকরি দিয়ে নাজমুলের সংসার চলে। নাজমুলের বাবা কাজ করতে পারেন না। ছোট ভাইও বাসায়। এখন আমার বোনের পরিবারের কী হবে?

একই সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে মরদেহের অপেক্ষায় আহাজারি করেন বিস্ফোরণে নিহত মাঈনুদ্দিনের ছেলে রিভেল। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তার বাবা ওই মার্কেটের নিচতলার একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। বিস্ফোরণের পর নিহত মাঈন উদ্দিনের পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোন থেকে বাসায় ফোন দেয়া হয়। পরে তারা ঢামেক হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।