বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার চোরাচালানকৃত পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। এর মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এসময় সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩১ জন চোরাচালানিকে ও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে চারটি পিস্তল, একটি এসএমজি, একটি রিভলভার, একটি রাইফেল, চারটি বিভিন্ন প্রকার বন্দুক, দুটি ম্যাগাজিন ও ৪০ রাউন্ড গুলি আছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে আছে এক লাখ ৩১ হাজার ১৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, তিন কেজি ৬৮১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, ১২ কেজি ৪২৯ গ্রাম হেরোইন, ১৯ হাজার ৫৮৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ১৬৭ বোতল বিদেশি মদ, চার হাজার ৩১৬ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ২৭১ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বিড়ি-সিগারেট, ২৪ হাজার ৮১৩টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, বিপুল পরিমাণ ইস্কার্ফ সিরাপ, এমকেডিল বা কফিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, এক হাজার ৭১০টি অ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট ও ২৭ হাজার ৫২৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট। এছাড়া, ২৬০ একর জমিতে চাষকৃত পপিক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে আছে ২২ কেজি ১৬৩ গ্রাম স্বর্ণ, তিন কেজি ৬৩০ গ্রাম রূপা, বিপুল পরিমাণ কসমেটিক্স সামগ্রী, ইমিটেশন গহনা, নয় হাজার ৭৩৮টি শাড়ি, দুই হাজার ৬০৮টি থ্রিপিস বা শার্টপিস বা চাদর বা কম্বল, পাঁচ হাজার ৩২২টি তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৪০ ঘনফুট কাঠ, আট হাজার ১৩৬ কেজি চা পাতা, ৬৫ হাজার ৮০০ কেজি কয়লা, তিনটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১১৫ কেজি কারেন্ট জাল, ২৪৩ প্যাকেট কীটনাশক, ৬৬৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, চারটি ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান, ১৪টি পিকআপ, তিনটি প্রাইভেটকার, ১৬টি সিএনজি বা ইজিবাইক ও ৪৭টি মোটরসাইকেল।