×

জাতীয়

ইবিতে ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ১২:০১ পিএম

প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে রায়ে।

বুধবার (১ মার্চ) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতির রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ইবির হলগুলোর সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ছাত্রীকে আগামী তিন দিনের মধ্যে যে কোনো হলে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ওই ছাত্রী তার পছন্দমতো যে কোনো সিট বাছাই করতে পারবেন। একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী কোনো একামেডিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী গাজী মো.মহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ অন্তত ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। ঘটনার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলম, হাউস টিউটর মৌমিতা আক্তার, ইশরাত জাহানসহ কয়েকজনের দায়িত্বে চরম অবহেলা রয়েছে বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া প্রক্টর শাহাদাত হোসেনের র্কমকাণ্ড উদাসীন ও দায়সারা গোছের। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় করা পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় আদালতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। প্রাথমিক শুনানির পর আজ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, ফুলপরীকে র‌্যাগিং, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নির্দেশদাতা এবং ওই পাশবিক, অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা সংঘটনের হুকুমদাতা পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী। ওই অমানবিক, পাশবিক, ন্যক্কারজনক, জঘন্য ঘটনার সঙ্গে হালিমা আক্তার মুন্নী, ইশরাত জাহান মীম, তাবাসসুম ইসলাম, ময়াবিয়া জাহান জড়িত এবং তাদের দ্বারা ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ফুলপরীকে পাশবিক কায়দায় অমানবিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরাসরি নির্যাতন করেন হালমিা আক্তার মুন্নী, ইশরাত জাহান মীম, তাবাসসুম ইসলাম ও ময়াবিয়া। তাবাসুমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রতীয়মান হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিন হলের ডাইনিংয়ে ফুলপরীর ওপর পাশবিক নির্যাতনের সময় ঊর্মি ও মীম ভিডিও ধারণ করে। তবে কোনো ভিডিও রের্কড পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গণরুমে উপস্থিত ছাত্রীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আল-আমিন কর্তৃক ফুলপরীকে হুমকি দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App